নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:-কংগ্রেসের প্রচারের মুখ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরই দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ কংগ্রসের সাংগঠনিক দায়িত্ব। এ বারের লোকসভা ভোটে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দলের প্রচারে মূল ভূমিকা পালন করে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা-ই। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের তারকা প্রচারকের তালিকতেও কংগ্রেসের তরফে অন্তর্ভুক্ত করা হল তাঁর নাম।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সূত্রে খবর, গত শনিবার মালদহের চাঁচলে জনসভা করে ফেরার পর রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই পশ্চিমবঙ্গে দলের তারকা প্রচারক বা স্টার ক্যাম্পেনার-এর তালিকায় রাখা হয়েছে প্রিয়ঙ্কার নাম। উল্টো দিকে পশ্চিমবঙ্গে আসার ব্যাপারে তাঁর নিজেরও যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। তবে প্রচারের সফরসূচি নির্দিষ্ট না-হওয়া পর্যন্ত তাঁর বাংলায় আসার দিনক্ষণ সম্পর্কে বিশদ জানানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এমনিতে ভোটের মুখে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে প্রিয়ঙ্কাকে প্রচারে চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে উত্তরপ্রদেশে রয়েছে তাঁর বাড়তি দায়িত্ব। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের লোকসভা কেন্দ্রগুলির প্রচারের ক্ষেত্রের মূল ভূমিকা তাঁরই। অন্য দিকে মা এবং দাদার কেন্দ্রেও তাঁদের অনুপস্থিতিতে যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কাই।
নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো দলের তারকা প্রচারকের তালিকায় মোট ৪০ জনের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেখানে প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসের চার মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ, অমরিন্দর সিং, অশোক গেহলত এবং ভূপেশ বাঘেল। তাঁরাও বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রচারে অংশ নেবেন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রয়েছেন দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার-নভজ্যোৎ সিং সিধু এবং মহম্মদ আজহারউদ্দিন। একই সঙ্গে তারকা প্রচারক তালিকায় রয়েছে সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নামও। তবে কংগ্রেসের এই তারকা প্রচারকরা কে, কবে, কোথায় সভা করবেন, সে বিষয়ে চূড়ান্ত তালিকা এখনও প্রস্তুত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র রাহুলকে জানিয়ে ছিলেন, বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে প্রিয়ঙ্কাকে পাঠানো হোক। সোমেনবাবুর পরামর্শ বিবেচনা করেই সম্ভবত এই ৪০ জনের তালিকায় রাখা হয়েছে প্রিয়ঙ্কার নাম। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সাত দফার লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে এ রাজ্যে দু-টি জনসভায় অংশ নিতে পারেন প্রিয়ঙ্কা। তবে সেই জনসভাগুলি ঠিক কোথায় হবে, সেটা প্রদেশের সঙ্গে আলোচনা করেই স্থির করবেন কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। মালদহে রাহূল গান্ধীর জনসভায় প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল যার ফলে রাজনৈতিক মহলে কংগ্রেস রাজ্যে একটা বাড়তি গুরত্ব পাচ্ছে।