নিউজ ডেস্ক:- বিহারের ভোটে লালুু পুত্র ক্ষমতায় আসছে বলেছিল সব সমীক্ষায় । কাল থেকেই তাঁর চোখ ছিল টিভির পর্দায়। এক্সিট পোলের হিসেবে পুত্র তেজস্বীর নেতৃত্বে দল আরজেডির নেতৃত্বাধীন বিরোধী মহাজোটই এগিয়ে ছিল। তবুও সোমবার সন্ধে থেকেই উত্তেজনা বাড়ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেও চোখ আটকে ছিল টিভির দিকেই। কিন্তু কিছুক্ষণ দেখার পরই টিভি বন্ধ করে দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব । ততক্ষণে জানতে পেরে গিয়েছেন, মহাজোট নয়, বিহারের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ।
সকালই পরিষ্কার করে দেয় দিনটা কেমন যাবে। পুরনো প্রবাদকে মনে করেই হয়তো অভিজ্ঞ লালু বুঝে গিয়েছিলেন এবারও হল না। আর তারপরই টিভি বন্ধ করে তিনি চলে যান রোদ পোহাতে। করোনার আশঙ্কায় তাঁকে গত আগস্ট মাস থেকে রিমস হাসপাতাল চত্বরে কেলি বাংলোয় রাখা হয়েছে। বাংলোর লনে তাঁকে রোদ পোহাতে দেখা গিয়েছে এদিন বেলা বাড়ার পর থেকেই।
এবারের পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময়কালেই জেলেই থাকতে হল তাঁকে। তবে কারাবন্দি অবস্থাতেও লালুপ্রসাদ উদগ্রীব ছিলেন দলের জয় ও পুত্রের সিংহাসন লাভের সম্ভাবনার কথা ভেবে। সোমবারই ছিল তেজস্বীর জন্মদিন। সেদিন ছেলেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লালু বলেন, বিহারের মানুষ তাঁর পুত্রকে জন্মদিনের উপহার দেবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে তাতে শেষ পর্যন্ত অধরাই থাকতে চলেছে লালুর স্বপ্ন। এই মুহূর্ত এনডিএ এগিয়ে ১২৬টি আসেন। মহাজোট এগিয়ে ১০৫-টিতে। ফলাফল আগাম আঁচ করেই টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছেন বর্ষীয়ান লালুপ্রসাদ।
কিন্তু শেষ মূহূর্তে হিষেবের যে গরমিল হয়ে গেল ।সেই নীতিষ কুমার ই মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছে।