ওয়েব ডেস্ক :- সকাল থেকেই প্রতিবাদী কৃষকদের র্যালিতে উত্তপ্ত দিল্লির রাজপথ ,কথা ছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন শুরু হবে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল। সকাল থেকেই দিল্লির দিকে অভিযান শুরু করেন কৃষকরা। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নাগাদ, সিংঘু এবং টিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে আউটার রিং রোডের দিকে এগিয়ে যায় কৃষকদের মিছিল।
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির বুকে ট্রাক্টর র্যালিতে কৃষকরা। সকাল থেকেই প্রতিবাদী কৃষকদের র্যালিতে উত্তপ্ত দিল্লির রাজপথ। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশী বাধা পেয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালেই সিঙ্ঘু সিমান্তে ব্যারিকেড ভাঙলেন প্রতিবাদী কৃষকরা।
শনিবারই কৃষকদের দিল্লিতে ট্রাক্টর র্যালির অমুমতি দিয়েছিল পুলিস। রুট নির্ধারণে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রবিবার বৈঠক করে দিল্লি পুলিস প্রশাসন। গাজিপুর, সিঙ্ঘু, চিল্লা ও তিকরি সীমানা দিয়ে রাজধানীতে ট্রাক্টর র্যালি শহরে ঢুকবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানের পরই ট্রাক্টর র্যালি হবে। দিল্লি প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছে কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালি কোনও মতেই মধ্য দিল্লির দিকে যেতে পারবে না। এমনকী এই কর্মসূচি দিল্লি সীমানার নিকটবর্তী স্থানেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভ প্রায় দু’মাস ধরে চলছে। সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করে মেগা ট্রাক্টর র্যালির আয়োজন করেছে কৃষকরা। যার মহড়াও ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। আপাতত, এই প্রস্তাবিত ট্রাক্টর র্যালিই রক্তচাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের। প্রসঙ্গত, সমাধান খুঁজতে এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে ১১বার বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলো। কিন্তু সবটাই নিষ্ফলা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার পর কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত দেড় বছর নয়া কৃষি আইন কার্যকর হবে না। মনে করা হয়েছিল, আপাতত কৃষক আন্দোলনে লাগাম পরানোর জন্যই তাদের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু গত শুক্রবারের বৈঠকে আন্দোলনরত কৃষকরা সাফ জানান, স্থগিত নয়, আইন প্রত্যাহারই করতে হবে। অর্থাৎ নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেনের দ্বারস্থ হন এক বিক্ষোভরত কৃষক। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের কাছে হরপ্রীত সিং নামের ওই কৃষক অনুরোধ জানান, তিনি যেন নিজের সন্তানকে বুঝিয়ে কৃষি আইন বাতিল করার নির্দেশ দেন।