নিউজ ডেস্ক:- কড়া ভাষায় সমালোচা করলেেে রাহুল গান্ধীঁ। তিি দ্বিতীয় মোদি সরকার দানব ২.০ সরকার বললে। শনিবার এই ভাষাতেই কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন রাহুল গান্ধি । তাঁর অভিযোগ, “সজ্ঞানে ভারতীয় অর্থব্যবস্থাকে ধংস করছে এই সরকার। এমএসএমই শিল্প আর গরিবেদের হাতে নগদ তুলে না দিয়ে আর্থিক বিপর্যয় ডেকে আনছে মোদি সরকার।” প্যাকেজের নামে মিথ্যাচার লোককে বোকাা বানানো
গরীবের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়াও দেশেেে অর্থনীতিকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধীঁ আজ সরাসরি মোদী ২ সরকরকে দানব ২ সরকার বলে অভিহিত করলেন ।
টুইটারে তিনি এদিন একটা সংবাদ পত্রের প্রতিবেদন পোস্ট করেছেন। করোনা সংক্রমণ আর লকডাউনের জেরে ভারতীয় অর্থব্যবস্থা (Indian Economy) আর এমএসএমই সেক্টরের ভবিষ্যৎ কী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে ওই প্রতিবেদন। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, “আর্থিক বিপর্যয় থেকে দেশকে বের করতে হলে অবিলম্বে গরিবদের হাতে ১০ হাজার টাকা নগদের জোগান দিক কেন্দ্র। পাশাপাশি এমএসএমই (MSME) সেক্টরের জন্য পৃথক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক।” তিনি বলেন, “সজ্ঞানে অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে সরকার। এটা আদতে দানব ২.০ সরকার।”
এদিকে, লকডাউন ব্যর্থ। এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুক্রবার কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধি। অন্য দেশের সঙ্গে লকডাউনের তুলনা টেনে কংগ্রেস সাংসদ এই মন্তব্য করেছেন। এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর। তাঁর দাবির স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করতে গিয়ে পাঁচটি গ্রাফ টুইট করেন রাহুল গান্ধি। সেই গ্রাফ থেকে স্পষ্ট ইউরোপের দেশগুলোর লকডাউনের তুলনায় ভারতে পাঁচ দফায় চলা লকডাউন কীভাবে ব্যর্থ! রাহুল গান্ধি বলেছেন, “দেশে এখন প্রতিদিন অস্বাভাবিক হারে সংক্রমণ বাড়ছে। আর সেই সময় আনলক ১.০ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।” সংক্রমণ রোধে ২৫ মার্চ থেকে দেশে লাগু লকডাউন। মোট পাঁচ দফার এই লকডাউন বলবৎ হয়েছে ভারতে। যদিও দ্রুত লকডাউন ঘোষণাকে কুর্নিশ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। কিন্তু গত সপ্তাহে ক্রমাগত সংক্রমণের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় উদ্বেগে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
চলতি সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে রাহুল গান্ধি কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। সংক্রমণ, পরিযায়ী মৃত্যু, আর্থিক মন্দার মতো নানা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছেন সনিয়া-তনয়।
এদিকে, করোনা সঙ্কটের কারণে চলতি বছরে কোনও নতুন সরকারি প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হবে না, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন চালিয়েও কোভিড- ১৯ সংক্রমণকে রোখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আপাতত করোনা সঙ্কটের মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য, তাই নতুন করে আর সরকারি কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করার কথা ভাবা হচ্ছে না, জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন । সমস্ত মন্ত্রককে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, নতুন কোনও প্রকল্পের জন্যে যেন তারা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে সমস্ত সুপারিশ করা বন্ধ করে দেয়।
আদপেই কি দেশের অর্থনীতিকে মোদি সরকার ধ্বংশের সামনে দাাঁড় করাচ্ছেন না ?এই প্রশ্ন চলতে থাকবে কিন্তু গরীবের হাতে পাঁচ দশ হাজার টাকা দিলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত। এই আলোনা এখন অলিতে গলিতে চায়ের দোকানে।