ওয়েব ডেস্ক: – জিডিপি এর রের্কড পতন .অথনৈতিক ভয়াবহ সমস্য । আবারোও নোট বাতিলের মত অবিবেচক সিদ্ধান্তই কে দায়ী করলেন রাহূল গান্ধী। গরিব মানুষ, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ওপর আঘাত হানতেই কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছে কর নোট বাতিলের পথে হেঁটেছিল। বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করেছেন রাহুল গাঁধী। নোট বাতিলের বিরোধিতা করে এর আগেও একাধিক বার আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। করোনা মহামারী দেখা দেওয়ার পরেও কর্মসংস্থান, কোভিড-মোকাবিলা, ভারতের অর্থনীতি, আর্থিক বৃদ্ধি নিয়েও ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রের কঠোর সমালোচনা করেন রাহুল। সর্বশেষ যে ভিডিওটি রাহুল প্রকাশ করেছেন, তাতে ২০১৬ সালের নোট বাতিলের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি।
রাহুল জানিয়েছেন, ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট বাতিলের নেপথ্যে সরকারের যে গোপন উদ্দেশ্য ছিল তা আজ জলের মতো পরিষ্কার। বলেছেন, আমাদের দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্র এই নগদ টাকার উপরই বাঁচে। ছোট মাপের ব্যবসায়ীরা এর উপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকে। নোট বাতিলের দ্বিতীয় কারণ হল এই অসংগঠিত ক্ষেত্রে নগদ টাকার জোগান বন্ধ করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন তিনি ক্যাশলেশ ভারত চান। ভারত যদি নগদহীন হয়ে পড়ে, তা হলে ছোট ছোট দোকানদার, কৃষক, দিনমজুররা শেষ হয়ে যাবে। ভারতের ন্যয়সঙ্গত বৃদ্ধির ৯৫ শতাংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল। এর আগের ভিডিওতে ভারতের অর্থনীতিতে সঙ্কোচন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন রাহুল। অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে ২৩.৯ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছে। প্রথম পর্বের লকডাউনের ৬৮তম দিনে এই সঙ্কোচন পরিলক্ষিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রাহুল। লক্ষ লক্ষ মানুষের দুর্দশা, দুঃখের কথা মনে করিয়ে রাহুল জানিয়েছেন নোট বাতিলের সাপেক্ষে কালো টাকার কারবার বন্ধ করার যে যুক্তি কেন্দ্রীয় সরকার দেখিয়েছিল, তা আদতে পূরণ হয়নি। নোট বাতিলের ফলে দেশের গরিব মানুষের কোনও লাভ হয়নি। লাভ হয়েছে কোটি প্রতি শ্রেণির। দেশের সাধারণ মানুষের টাকায় কোটিপতিদের ঋণ শোধ করছে মোদি সরকার।
লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ ,হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিদেশ পালানো .শিল্পপতিদের ঋণ মুকুব আজ দেশকে অর্থনৈতিক ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।