করোনা কালে সরকারি তহবিলে টান, এবার কোপ চাকরিতেও
নিউজ ডেস্ক: – ভাঁড়ে মা ভবানী । ভান্ডার যে একেবারে শূণ্য। বন্ধ আয়ের পথ .চলছে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের বেসরকারী করণ । করোনা কালে কোপ পড়েছে সরকারি আয়ে। বেড়েছে ব্যয়। তাই এবার সরকারি খরচে লাগাম পরাতে মরিয়া কেন্দ্র। তা করতে গিয়ে নতুন নিয়োগও বন্ধ করছে মোদি সরকার। কাটছাঁট হচ্ছে সরকারি অনুষ্ঠানের খরচেও। আর তহবিলে টানের জেরে নিয়োগ বন্ধ নিয়ে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
শুক্রবার এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry)। তাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে সরকারি সম্পদের উপর এই মুহূর্তে যা চাপ তাতে অত্যাবশক নয় এমন খরচের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করার প্রয়োজন রয়েছে। অত্যাবশক নয়, এমন কয়েকটা ক্ষেত্রের কথাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
আমদানি করা কাগজে কোনও বই, নথি ছাপানো যাবে না। তবে এই আওতা থেকে ছাড় পাবে বিদেশে ভারতীয় হাইকমিশন।
সরকারি খরচে কোনও অনুষ্ঠান আপাতত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি একান্তই করতে হয়, তাহলে তার বহর হবে ছোট, খরচ হবে সামান্য।
কোপ পড়েছে নিয়োগেও। কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রক ও তাদের অন্তর্গত দপ্তরে কনসালটেন্ট নিয়োগ হয়। কোন দপ্তরে কতজন কনসালটেন্ট আছে ও আদও তার প্রয়োজন আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যতটা সম্ভব কম কনসালটেন্ট রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আগে থেকে অনুমতি না নিয়ে কোনও নতুন পদ সৃষ্টি করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
চলতি বছরের পয়লা জুলাইয়ের পর কোনও পদ সৃষ্টি হলে, তা এখনও পূর্ণ না য়ে থাকলে, যদি নিয়োগ অত্যাবশকীয় হয়, সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের কাছে অনুমতি নিতে হবে।
এ নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তনসভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। টুইটারে তিনি লেখে, করোনা পরিস্থিতি তো একটা অজুহাত। আসলে সরকারি অফিসে স্থায়ী পদ রাখতেই চাইছে না মোদি সরকার। কটাক্ষ করে তিনি আরও লেখেন, “মোদি সরকার ভাবছে, ন্যূনতম সরকারি ও বাকিটা বেসরকারি, এই নীতিতে চলবে।” এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন রাহুল।
এখন সরকারী চাকুরীজীবিরাও নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছে।