নিউজ ডেস্ক:- রেল বিমান এর পর এবার ব্যাঙ্ক । এ যেন সেলের বাজার চলছে। প্রতিদিনই সরকারী সম্পত্তি বে সরকারী করণের মেলা চলছে। রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে কয়েকটি ব্যাংকের বেসরকারিকরণের সুপারিশ করেছিল নীতি আয়োগ। সেই কাজ এবার দ্রুততার সঙ্গে করার নির্দেশ এল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে পাঞ্জাব ও সিন্ধ ব্যাংক (Punjab & Sind Bank), ব্যাংক অব মহারাষ্ট্র (Bank of Maharashtra), ইউকো ব্যাংক (UCO Bank) ও আইডিবিআই ব্যাংকে (IDBI Bank) সরকারের হাতে থাকা শেয়ার বেসরকারি সংস্থার কাছে দ্রুত বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে পিএমও থেকে।
তাদের দাবি অনুযায়ী, বর্তমান আর্থিক বছরের মধ্যেই এই কাজ করে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে মার্চের মধ্যেই এই চারটি ব্যাংক চলে যাবে বেসরকারি সংস্থার কাছে। কেন্দ্র ক্রমশ ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে। এর আগে ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে সংযুক্ত করে ১২টিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এবার তা পাঁচে নামানো হবে বলে সূত্রের খবর। যার প্রথম ধাপ হিসেবে অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হবে। এবং তারই প্রথম ধাপ হিসেবে এই চার ব্যাংক বেসরকারিকরণ। যার কাজ এবার দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে চায় কেন্দ্র।
২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে কেন্দ্র ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। আর ব্যাংক সংযুক্তিকরণ এবং বেসরকারিকরণ এই কাজে গতি আনবে বলেই আশা সরকারের। তাদের দাবি, এর ফলে যেমন নতুন বড় ব্যাংকগুলির পরিষেবার পরিধি বাড়বে, তেমনই উন্নত হবে প্রযুক্তি এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা। যা অর্থনীতির গতিকে তরান্বিত করবে। যদিও করোনার জেরে থমকে যাওয়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে অর্থের সংস্থানের জন্যই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, দেশজুড়ে যেভাবে ঋণ কেলেঙ্কারি, ব্যাংক দুর্নীতি বাড়ছে, তাতে ব্যাংকগুলির উপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ উঠে গেলে সাধারণ মানুষ আদৌ টাকা রাখতে ভরসা পাবে তো?