মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার রামেশ্বর পুরগ্রামের দারকা নদীর উপর এলাকার মানুষের নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করছেন সেতু
জৈদুল সেখ, কান্দি
দারকা নদীর একদিকে কান্দি থানা অন্যদিকে খড়গ্রাম থানা, স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই দারকা নদির উপর সেতু নির্মাণের কিন্তু এখনো পর্যন্ত হয়নি সেতু। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার রামেশ্বর পুর গ্রামের দারকা নদীর উপর এলাকার মানুষের নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করছেন সেতু কিন্তু অর্থের অভাবে সেই সেতু সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তাই এলাকাবাসী সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার কুমারসন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস তারমধ্যে রামেশ্বর পুর, মাদারহাটি, নপাড়া গ্রামের মানুষের স্কুল থেকে শুরু করে রেশন কিংবা নিত্য দিনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে একমাত্র রামেশ্বর পুরের এই সেতু। এলাকার প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ আর বেশিরভাগ কৃষি জমি রয়েছে দারকা নদীর ওপারে নৌওদা, সুন্দরপুর, রতনপুরে। ধান থেকে শুরু করে শাকসবজি কৃষিজ ফসল নদী পার করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে কৃষকদের। বর্ষার সময় সমস্যা আরও বেশি খেয়া পারাপারের ক্ষেত্রে সেরকম ব্যবস্থা না নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা পারাপার করতে হয়।
রামেশ্বর পুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন ” এই সেতু নির্মাণ হলে কৃষিকাজের সুবিধা তো হবেই তার সঙ্গে সঙ্গে নদীর ওপারে নৌওদা, সুন্দরপুর, রতনপুরে গ্রামের মানুষের যাতায়াত থেকে শুরু করে স্কুল থেকে হসপিটাল যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দূর হবে। ”
এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি প্রার্থ প্রতীম সরকার বলেন ” কুমাসন্ড পঞ্চায়েতের ওপারে বেশিরভাগ কৃষকদের চাষাবাদ জমি আবার এপারে স্কুল থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা। তাই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রামেশ্বর পুরে একটা সাঁকো করে দেওয়ার কিন্তু ওটা ইরিগেশনের ডিপার্টমেন্ট। তাদের অর্থের সংকট থাকায় বিধায়ক অপূর্ব সরকার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে এবং কুমারসন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি হকসেদ সেখ আর্থিকভাব সাহায্য করেছে তারসঙ্গে গ্রামের মানুষ নিজের সহযোগিতায় সাঁকোর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। বাকিটা খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা চলছে।”
সেতু সম্পূর্ণ না হওয়ায় চাষবাসের ক্ষেত্রে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাই গ্রামবাসীদের নিজের উদ্যোগে এবং নিজেরা টাকা তুলে বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের দাবি সরকারি ভাবে স্থায়ী সেতু নির্মাণের।
তবে গ্রামবাসী এবং পল্লী মঙ্গল সমিতির সম্পাদক আবুল কালাম সেখ জানান ” সাঁকো তৈরির শুরু হয়েছিল তখন কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পার্থ প্রতীম সরকার ২৪ টি হিম পাইপ এবং লেবার বাবদ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন এই সেতু, এবং কান্দি বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও পঞ্চায়েত কিছু আর্থিক সাহায্য করেছিল। তার সঙ্গে গ্রামের মানুষ কাছ থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা তুলে ছিলাম কিন্তু তাতেও সেতু সম্পূর্ণ করতে পারিনি। সেতুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে যাতে করে সরকারি সাহায্য করা হয় এই দাবি জানাচ্ছি। ”
এ প্রসঙ্গে কান্দি বিডিও নীলাঞ্জন মন্ডল বলেন ” ওখানে যাতায়াতের সমস্যা আছে কিন্তু মাত্র দুই কিমি দূরে গাঁতলা ব্রীজ থাকায় সরকারি ভাবে নতুন ব্রীজ সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ এলাকার মানুষ নিজেদের প্রচেষ্টায় অস্থায়ীভাবে একটা সেতু নির্মাণ করছে কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি। ”
এলাকায় মানুষ নিজের প্রচেষ্টায় দারকা নদীর উপর তৈরি করছেন সেতু কিন্তু আর্থিক অভাবে অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, সাহায্যের আবেদন কান্দির কুমাসন্ড অঞ্চলে