*দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন মুদ্রা ও বিজ্ঞান প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো মুর্শিদাবাদের সলুয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে।*
নিজস্ব সংবাদদাতা:- সারা রাজ্য জুড়ে স্টুডেন্টস উইক অর্থাৎ শিক্ষার্থী সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।এই উপলক্ষে নতুন শিক্ষা বর্ষে ছাত্র ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার এবং বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করলো মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্লকের সলুয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়।আজ শুক্রবার দুপুর একটার পর থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সহিদুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল জানালেন, আজকের প্রদর্শনীতে অখণ্ড ভারতের প্রায় সাত হাজার বছর আগের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন মূল্যের অকৃত্রিম মুদ্রাগুলো রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, অখণ্ড ভারতের প্রায় সাত হাজার বছর আগে বিনিময় প্রথা হিসেবে কড়ির প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীতে ঐতিহাসিক বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন রাজাগন ধাতুর মুদ্রার প্রচলন করেন যার মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা।মূলত মোঘল ও শেরশাহ আমলের ধাতুর মুদ্রা,বাংলায় সুলতানী আমলের মুদ্রা, বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার টাঁকশালের দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন মুদ্রা, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের মুদ্রা এবং কোলকাতা,মুম্বাই,হায়দ্রাবাদের টাঁকশালের বিভিন্ন মূল্যবান মুদ্রার মুদ্রার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরিচিত করানো হয়। এর মধ্যে সকলের নজর কাড়ে প্রদর্শনীতে রাখা একপয়সা, পঁচিশ পয়সা এবং একটাকার স্বর্ণ মুদ্রাগুলো। পরবর্তীতে কীভাবে ধাতু মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের টাকার প্রচলন হলো তাই এই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে।
অটল টিঙ্কারিং ল্যাবের প্রদর্শনী সম্বন্ধে শিক্ষক রাজা ঘটক বলেন, যেহেতু সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সপ্তাহ পালিত হচ্ছে সেই হেতু আমরা বিভিন্ন সময়ের প্রাচীন মুদ্রার পাশাপাশি অটল টিঙ্কারিং ল্যাবের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি।এই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের মৌলিক ভাবনার প্রতিফলন।তারা নিজেরাই বিভিন্ন যন্রপাতি দিয়ে নতুন নতুন বিজ্ঞান ভিত্তিক মডেল তৈরি করেছে যা অবাক করার মতো। তাদের বিজ্ঞান ভিত্তিক মৌলিক ভাবনার প্রতিফলন সমূহ তুলে ধরে ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন।
বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি মাননীয় জিয়াউর রহমান বলেন এই ধরনের অনুষ্ঠান ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ইতিহাসকে জানার এবং নতুন কিছু সৃষ্টির উৎসাহ তৈরি হবে।এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা ভীষণ খুশি।