ওয়েব ডেস্ককন:-; রেশনে কারচুপি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধছিলেন তাঁদের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে রেশনের সামগ্রী নিয়ে কারচুপি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন বিজেপি স্থানীয় নেতারা। সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ রেশনের চাল এবং আটা উদ্ধার হল বিজেপি পার্টি অফিস থেকে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া মোড় এলাকা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ আসে স্থানীয় এক রেশন ডিলারের প্রচুর মালপত্র রয়েছে ওই বিজেপি পার্টি অফিসে। খবর পাওয়া মাত্রই ধূপগুড়ির খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক বানারহাট থানার পুলিশকে নিয়ে হানা দেন ওই এলাকায়। অভিযান চালাতে গিয়ে দেখা যায় রেশন ডিলারের কাছে যে মালপত্র সাধারণ মানুষের জন্য এসেছে, তা যে গোডাউনে রাখা হয়েছে তার সামনেই রয়েছে বিজেপির দলীয় পতাকা এবং গোডাউনের ভেতরে বিজেপি নেতা অমিত শাহ-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতাদের ছবি ও দলীয় পতাকা রাখা আছে। এমনকী ঘরের ভেতরে রয়েছে বিজেপির ব্যানারও।
এরপর ওই রেশন ডিলারকে ডেকে পাঠানো হয়। রবি সাহা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তিনি ব্যবসা করেন। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানতেন না। বিজেপির দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। এদিকে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিলারকে এবং রবি সাহাকে আটক করে জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সেই বিজেপি নেতারা পলাতক। তাঁদের খোঁজে নেমেছে পুলিশ।
যদিও গোটা ঘটনাটিই পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির জেলা সভাপতির। চাল মজুত প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানান যে, লোকসভা নির্বাচনের সময় ওই ঘরটি বিজেপির কার্যালয় করা হলেও, পরবর্তীতে সেটি তাঁদের নেই। তাই সেই ঘরে কী রাখা হয়েছে, তার দায় তাঁদের নয়। পাশাপাশি, ঘর ছাড়লেও সেখান থেকে দলীয় পতাকা ও মোদির ছবি সরানো হয়নি বলেই জানান তিনি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা খাদ্য আধিকারিক অমৃত ঘোষ। আগামিকাল থেকেই রেশন বিলি করা হবে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান।