অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- এবার খোদ আর বি আই গর্ভনর স্বীকার করলেন দেশের অথনৈতিক যতটা খারাপ ভেবেছিলেন তার চেয়েও বেশি খারাপ। দেশে যে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনও পদক্ষেপের কথাই ঘোষণা করা হয়নি এখনও। বরঞ্চ, অর্থমন্ত্রক গাড়ি শিল্পের অবনতি এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য দায়ি করেছে ওলা-উবেরকে। যা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে এই পরিস্থিতির পূর্বাভাস যে অনেক আগেই মিলেছিল তা স্বীকার করে নিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। জানালেন, এই মন্দার আভাস ফেব্রুয়ারি মাসেই মিলেছিল।
সৌজন্য :- মহানগর
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে শক্তিকান্ত দাস বলেন, শেষ কোয়ার্টারে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ, এই তথ্য তাঁকে অবাক করেছিল। তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিস্থিতি যে এমন হবে তার পূর্বাভাস মিলেছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসেই। ব্যাঙ্ক মন্দার আভাস পেয়েছিল বলেই ৩৫ বেসিক পয়েন্ট কমানো হয়েছিল রেপো রেট। তখনই স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল মন্দার। তবে পরবর্তী কোয়ার্টারের ফলাফল না আসা পর্যন্ত কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এমন মন্তব্য করে তিনি যে মোদী সরকারের অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন তা বলাই বাহুল্য।
বিভিন্ন গাড়ি শিল্পের পরিস্থিতি, হাউসিং, ফুড প্রসেসিংয়ের মতো সেক্টরে বেনজির মন্দার পরিস্থিতি চলছে। চাহিদার অভাবে উৎপাদন বন্ধ, কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো ঘটনাও ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিস্থিতির কথা মানতেই রাজি নয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বরং আর্থিক মন্দার দায় চাপাচ্ছেন অন্য সংস্থার ওপর, দেশের নতুন প্রজন্মের ওপর। এক্ষেত্রে বিরোধীরাও একজোট হয়ে এর বিরোধিতা করছে। তবে তেমনভাবে কোনও ‘রা’ কাটছে না সরকার।