অয়ন বাঐলা ,নিউজ ডেস্ক:- বিল পাশের রের্কড এবার পালামেন্টে। ইতিমধ্যেই পাশ হয়েছে ৩০টি বিল। এখনও তিনদিনের কার্যকাল বাকি। রেকর্ড সংখ্যক বিল পাশ করিয়ে ইতিমধ্যেই ১৭তম লোকসভার বাদল অধিবেশনকে সবচেয়ে সফল বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মে মাসে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রথম অধিবেশনে এত সংখ্যক বিল পাস হওয়ার উদাহরণ নেই বললেই চলে। এর আগে ১৯৫২ সালের ৬৪ দিনের একটি অধিবেশনে ২৭টি বিল পাশ হওয়ার নজির ছিল। এবারের প্রথম অধিবেশন সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এই নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মানুষের জানা উচিত যে সংসদ কাজ করছে এবং কী কী কাজ চলছে। যারা আমাদের কাছে থেকে আশা করেন তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই আমার কাজ।’ লোকসভার স্পিকার হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজের কাজের জন্য সুনাম অর্জন করেছেন বিড়লা। সূত্রের খবর, তিনি প্রত্যেকদিন সকাল ১০টার মধ্যে সংসদে ঢোকেন এবং মুলতুবি হওয়া পর্যন্ত থাকেন। উল্লেখ্য, স্পিকার হওয়ার আগে নিজে দু’বারের সাংসদ ছিলেন ওম বিড়লা।
সংসদের কার্যক্রম নিয়ে সাংসদদের আরও বেশি সজাগ করার চেষ্টা বহুদিন ধরেই করতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। কখনও উপস্থিতি বাড়ানোর প্রসঙ্গে জোর দিয়েছেন তিনি। কখনও বা সময়ানুবর্তীতা এবং শৃঙ্খলতার উপর জোর দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত মাসেও সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অনুপস্থিত থাকার কারণে মন্ত্রীদের কড়া সমালোচনা করেন মোদী। বিরোধী এবং বিরোধীতার কথা ভুলে গিয়ে জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্য সংসদে উপস্থিতি একপ্রকার বাধ্য করেছেন তিনি।
যদিও ঝাঁকে ঝাঁকে এই বিল পাশ হওয়া নিয়ে বিরোধীদের একাংশ মোটেও খুশি নন। যার মধ্যে অন্যতম নাম ডেরেক ও’ব্রায়েনের। ইউএপিএ বিল নিয়ে আলোচনা করার সময় তিনি বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে পিৎজা ডেলিভারির তুলনা করেছিলেন। ২০০৪-২০১৪ পর্যন্ত লোকসভা অধিবেশনে বিল নিয়ে স্ক্রুটিনির শতকরা হার ২০১৪-র পরবর্তী সময়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল বলে দাবি করেন। তবে নানা পক্ষের নানা মত থাকলেও মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম অধিবেশনই যে ফলপ্রসূ হয়েছে তা বলাই চলে।