নিউজ ডেস্ক:- ইতিমধ্যে গঙ্গা ভাঙ্গনের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সামশেরগঞ্জ, লালগোলা, ফারাক্কা সহ মালদা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। অনেক ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ইতিমধ্যে সেখানে ভাঙ্গন প্রতিরোধে অস্থায়ী কাজও শুরু করেছে রাজ্য সেচ দপ্তর।
স্থায়ী সামাধান হিসেবে গঙ্গাধার পাকা করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। সামসেরগঞ্জে প্রায় ৫০০ বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। লালগোলায় বর্ডার এলাকায় বড় ভাঙন হয়েছে। বেশ কিছু এলাকা নদীগর্ভে চলে গিয়েছে ফারাক্কায় ১৫০ টি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙ্গন নিয়ে সাংবাদ মাধ্যমে যৌথ বিবৃতিতে এমনি মন্তব্য করলেন মুর্শিদাবাদের দুই সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমান
দুই সাংসদ আরো বলেন ইতিমধ্যে ২০০ পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। নদী গর্ভে বাড়ি চলে যাওয়া আরও ৭০০ পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে সামশেরগঞ্জ ফারাক্কা সহ একাধিক এলাকায় ভেস্ট ল্যান্ড বা সরকারি জমির সন্ধান চলছে নদীগর্ভে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়া ঐ সমস্ত পরিবারকে সরকারি পাট্টা সহ বাড়ি দেয়া হবে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খাদ্য দেয়ার কাজ চালু রয়েছে।
দুই সাংসদ আরো বলেন মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙ্গন রোধ নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে চিঠি দেয়া হয়েছে ফারাক্কা থেকে মুর্শিদাবাদের দিকে অর্থাৎ নিচের দিকে ৮০ কিলোমিটার এবং ব্রিজের উপর দিকে ৪০ কিলোমিটার গঙ্গায় ভাঙ্গন রোধে দায়িত্ব ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি সম্পর্কে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ এবং এনটিপিসি ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এবং নয়াদিল্লিতে জলসম্পদ মন্ত্রকে গিয়ে স্থায়ী ভাঙ্গন রোধ নিয়োগ কথা বলব। গঙ্গা ভাঙ্গনের বিষয়টি সংসদেও তোলা হয়েছে আগামীতে আবার তোলা হবে।
সৌজন্যে পুবের কলম