বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে থেকে বড় বিপদের আশঙ্কায় এখন বেহালার বাসিন্দারা, পর্ণশ্রীতে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে ৫ জনের মৃত্যু ঘটলেও এখন নজর ফেরেনি জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ দফতরেরও।
পরিমল কর্মকার, কলকাতা : প্রবল ঝড়ের তাণ্ডবে গত ২o মে বেহালায় ১২o নম্বর ওয়ার্ডে নফর চন্দ্র দাস রোডে একটি লাইট পোস্টে বিদ্যুতের তারের উপর একটি বড় গাছ ভেঙ্গে পড়েছিল। গত ২ দিন ধরে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে গাছটি ওইভাবে পড়ে থাকলেও গাছটি সরাবার জন্য কোনও উদ্যোগ নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ দফতরেরও। তাই এলাকার মানুষের অভিযোগ, দুদিন আগেই আমফান ঝড়ে বেহালার পর্ণশ্রীতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু ঘটলেও হুঁস ফেরেনি প্রশাসনের।
অভিযোগ, ঝড়ের তাণ্ডবে গত ২ দিন ধরে বিদ্যুতের পোস্টে তারের উপর (লাইট পোস্ট নম্বর ৮৯/৯) বিপদজ্জনক ভাবে একটি বড় গাছ পড়ে থাকায় মাঝে মাঝেই তীব্র বিদ্যুতের চমকের মতো ফ্ল্যাশ করছে, আর কিছু একটা বাস্ট করছে। যারফলে গুলি বর্ষন ও বোমা ফাটার মতো জোরে জোরে আওয়াজ হচ্ছে বলে ১২০ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। ২ দিন ধরে গাছটি ওইভাবে পড়ে থাকায় নফর চন্দ্র দাস রোডের বাসিন্দারা বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।
ক্ষোভের সঙ্গে এলাকার অনেকেই বলছেন, বারংবার তারাতলা সি ই এস সি ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করলেও তারা নিরুত্তর। এরপর বার বার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করছে না। অভিযোগ, তৃনমূলের স্থানীয় জনপ্রিনিধি সুশান্ত ঘোষকে বিষয়টি তারা জানালেও তিনি নির্বিকার।
U
অভিযোগ, আমফান ঝড়ের তাণ্ডবে বেহালা সহ রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় গাছ ভেঙ্গে পড়ে বহু বিপদ ঘটেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে ভাঙ্গা গাছ সরাবার নির্দেশে দিলেও তার নির্দেশ কার্যত: অমান্য করছেন, তার দলেরই একশ্রেণীর নেতা, কর্মীও কাউন্সিলর। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বেহালার ১২০ নম্বর ওয়ার্ড। এমনই নানা অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।