অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:-মানবিকতার এক অনন্য নজির । ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গোটা রাজ্য জুড়ে লকআউট চলছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে এই ঘটনা দিনের পর দিন ঘটছে, ভাবাই যায় না।’ জম্মু–কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন আইএএস অফিসার কান্নান গোপিনাথন। দাদরা নগর হাভেলিতে একাধিক সরকারি দপ্তরের সচিব ছিলেন কান্নান। সাত বছরের কর্মজীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। গত বছর বন্যায় বিপর্যস্ত কেরলে যেভাবে নিজের আইএএস অফিসারের পরিচিতি লুকিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তা না বললেই নয়। উঠে এসেছিলেন সংবাদপত্রের একেবারে শিরোনামে। এবার কাশ্মীর ইস্যুতে সরব হয়ে উচ্চ পদের সরকারি পদও ত্যাগ করে দিলেন ২০১২ সালে পাশ করা ৩৩ বছর বয়সী কান্নান।
সংবাদমাধ্যমে কান্নান জানিয়েছেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষের নিজের বক্তব্য রাখার অধিকার আছে। আমি যেদিন সরকারি আধিকারিকের পদ গ্রহণ করেছিলাম, ভেবেছিলাম আমিই মানুষকে সেই সুযোগ করে দেব। কিন্তু এখন দেখছি, আমি নিজেই সেই অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। আমি সেই অধিকার আবার ফিরে পেতে চাই, তাই এই সিদ্ধান্ত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রে মানুষ কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলছে। এর চেয়ে ভষঙ্কর কিছু হতে পারে না। কেউ যদি আমায় জিজ্ঞেস করেন যে আমি কী করেছি, আমি এটুকু বলতে পারব যে আমি লোভনীয় সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।’
কথায় কথায় কাশ্মীরের প্রথম আইএএস অফিসার শাহ ফয়জলেরও প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন কান্নান। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক লেখা লিখেছিলেন শাহ ফয়জল। আর সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।