বারুইপুর পুলিশ জেলার জয়নগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি , থানার উদ্যোগে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালিত হল
মোমিন আলি লস্কর ও উজ্জ্বল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জয়নগর:-
সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ ” এর সারমর্মটি সহজ নিরাপদ ড্রাইভিং শুধু চালককে নয়, রাস্তায় থাকা সবাইকে রক্ষা করে। এর অর্থ হল ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা, গতি নিয়ন্ত্রণ করা, বিভ্রান্তি এড়ানো এবং প্রভাবের মধ্যে গাড়ি না চালানো। দুর্ঘটনা রোধে এই অনুশীলনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ক্যাম্পেইনটি তরুণ ড্রাইভারদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, যা প্রায়ই স্কুলে শেখানো হয়। বাংলাভাষী অঞ্চল সহ বিভিন্ন অঞ্চলে, ” সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ ” বার্তাটি নিরাপদ ড্রাইভ সেভ লাইফ ড্রইং এবং শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ।ক্যাম্পেইনের শুরুর তারিখটি সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত। এটি সমস্ত রাস্তা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সম্মিলিত আহ্বান, সড়ক নিরাপত্তায় প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে তা জোর দিয়ে।
সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফের গুরুত্ব”নিরাপদ ড্রাইভের গুরুত্ব, জীবন বাঁচান” হল বোঝার বিষয় যে কীভাবে সাবধানে গাড়ি চালানো জীবন বাঁচাতে পারে।
দুর্ঘটনা কমায় নিরাপদে গাড়ি চালানো সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমায়।জীবন রক্ষা করে সাবধানে গাড়ি চালানো চালক, যাত্রী এবং রাস্তায় অন্যদের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করে।ট্রাফিক নিয়ম অনুসরণ করে এতে গতি সীমা, ট্রাফিক লক্ষণ এবং সংকেত মেনে চলা জড়িত।
বিভ্রান্তি এড়ায় নিরাপদ ড্রাইভিং মানে গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহার না করা বা অন্যান্য বিভ্রান্তি।
দায়িত্ব প্রচার করে এটি অন্যদের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব এবং যত্নের অনুভূতি দেখায়।আঘাত প্রতিরোধ করে দুর্ঘটনা এড়ানোর মাধ্যমে, নিরাপদ ড্রাইভিং মানুষের সম্ভাব্য আঘাত প্রতিরোধ করে।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাকে উৎসাহিত করে এটি আইনকে সমর্থন করে এবং অন্যদের জন্য একটি ভাল উদাহরণ স্থাপন করে।সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সামগ্রিকভাবে, এটি প্রত্যেকের জন্য রাস্তা নিরাপদ করতে অবদান রাখে।মাথাতে নেই হেলমেট, নানান কাজে ব্যস্ততা দেখিয়ে প্রশাসনের চোখে আঙুল দিয়ে হুবাহু চলছে বহু বাইক। পুলিশের কড়া নজরদারিতে হেলমেট পড়ার অভ্যাস খানিকটা তৈরি হয়েছিল,কিন্তু ইদানিং ফের হেলমেট পড়া কমেছে। অনেক বাইক আরোহীদের মাথায় যদি বা হেলমেট আছে, পিছনের সোওয়ারির মাথা খালি। অন্যদিকে বহু বাইক আরোহী হেলমেট ছাড়া বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ ও গিয়েছে। শূন্য হতে হয়েছে বাবা মায়ের কোল। সেইমতো ২০১৬ সালে পথ দুর্ঘটনা আটকাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,সেই প্রকল্প অনুসারে রাজ্য পুলিশ বারে বারে সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন করেন। বুধবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলার তত্ত্বাবধনে জয়নগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ও জয়নগর থানার উদ্যোগে সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন করা হয়। কয়েক জন কে পড়ানো হল ফ্রি হেলমেট। সেইমতো জয়নগরে বুধবার থেকে শুরু হলো সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি, জীবন অমূল্য। সেই জীবনকে বাঁচাতে হেলমেট পড়ে গাড়ি চালান,নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচতে দিন এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত ২৫ শে জানুয়ারি থেকে ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত সারা রাজ্যে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। আর তার দৃশ্য দেখা গেল বুধবার জয়নগর ১ নং ব্লক প্রশাসন, জয়নগর থানা ও জয়নগর ট্রাফিকের উদ্যোগে জয়নগর থানার দক্ষিন বারাশতে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করার মধ্য দিয়ে পালিত হল “সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ”দিবস।এদিন পুলিশ, সিভিক, স্কুল পড়ুয়ারা পথ নিরাপত্তার হোডিং, পোস্টার নিয়ে দক্ষিন বারাশতে একটি সচেতনতা মূলক পদযাত্রায় অংশ নেন।এর পরে দক্ষিন বারাশত হাইস্কুলের মাঠে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয় একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। যাতে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) রুপান্তর সেনগুপ্ত, বারুইপুর এস ডি পি ও অতীশ বিশ্বাস,বারুইপুর ডি এস পি ট্রাফিক গৌতম চক্রবর্তী,টি আই প্রদীপ পাল,বারুইপুর ডি এম ডি সি আপতাফ আলম,জয়নগর ১ নং বিডিও ভুবন পনিথ পাপুল্লা, জয়েন্ট বিডিও নিমাই বিশ্বাস,তনয় মুখার্জি, জয়নগর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঋতুপর্ণা বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য তপন কুমার মন্ডল, বন্দনা লস্কর, জয়নগর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস নস্কর, সমাজসেবী তুহিন বিশ্বাস, জয়নগর থানার আইসি পার্থ সারথি পাল, জয়নগর ট্রাফিক ওসি রবীন্দ্রনাথ সরদার, ট্রাফিক এস আই সঞ্জয় , সাব ইন্সপেক্টর প্রদীপ পাল, সৌমেন দাড়াল,সি আই সুবির ঢালী, রবীন্দ্রনাথ সরদার,
মোটর ভেকেন্স ইন্সপেক্টার উত্তম ভট্টাচারিয়া । সামিম আহমেদ ঢালী,জেলা পরিষদের সদস্য এবং প্রাক্তন জয়নগর এক নম্বর ব্লকের সভাপতি তপন কুমার মন্ডল, দক্ষিণ বারাসত অঞ্চলের উপপ্রধান গিয়াসউদ্দিন লস্কর , সহ বহু প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এদিন পথ নিরাপত্তার খুটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন বিভিন্ন বক্তারা।এদিন কয়েকজনের হাতে হেলমেট তুলে দেওয়া হয়।উল্লেখ্য ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই পথ নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হয়। আর তাঁর পর থেকে এই বিষয়ে একাধিক সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করার ফলে বর্তমানে পথ দূর্ঘটনার হার আগের চেয়ে কমেছে।
সামিম আহমেদ ঢালী,জেলা পরিষদের সদস্য তপন কুমার মন্ডল, দক্ষিণ বারাসত অঞ্চলের উপপ্রধান গিয়াসউদ্দিন লস্কর , সহ বহু প্রশাসনের আধিকারিকরা।