নিউজ ডেস্ক: – গোটা দেশে চলছিল প্রতিবাদ ট্যুইটার ক্যাম্পেন . অবশেষে ষে জামিন পেলেন সিএএ বিরোধী সাফুরা জারগর। দিল্লি আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। আর সাফুরার জামিনের খবর পেতেই খুশির হাওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে। সিএএ,এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী অন্তঃসত্ত্বা সাফুরা জোরগার কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল। দেশ বিদেশের বহু মানবাধিকার কর্মী তার মুক্তির দাবি জানিয়েছিল। এদিকে সাফুরার জামিনের পর টিডিএন বাংলাকে এক আন্দোলনকারী বলেন, আন্দোলন ছাড়া মুক্তি নেই। বাকি বন্দীদের মুক্তির দাবিতে জোরালো আওয়াজ তুলবো।’
জানা গেছে,মানবিক কারণেই গর্ভবতী ওই নারীকে জামিন দিয়েছে। দেশের নাগরিক সমাজ ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, মানবিক কারণে জামিন দেওয়া হোক।
অবশেষে স্বস্তি জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সফুরা জারগারের। দিল্লি দাঙ্গার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে শেষপর্যন্ত জামিন দিল দিল্লি হাই কোর্ট। মানবিকতার খাতিরে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই জামিনের বিরোধিতা করেননি বলে জানা গিয়েছে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ সফুরাকে দিল্লি হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিশ।
এর আগে তিন তিনবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে। জানুয়ারি মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভায় উপস্থিত ছিলেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সফুরা জারগার। তার প্রায় ৪ মাস পরে সন্ত্রাসবাদী দমন আইন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২৭ বছর বয়সি এই তরুণীকে। তাঁর বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সফুরা এই মুহূর্তে ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিসওর্ডারেও ভুগছেন। আর তাই মানবিকতার ভিত্তিতেই জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। চতুর্থবার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দিল্লি হাই কোর্ট। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তারপরই CAA, NRC ইস্যু নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে পড়ে। অশান্তির আঁচ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল রাজধানীতে। সেই সময়েই প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছিল জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরাও। সেই প্রতিবাদে শামিল ছিলেন সফুরাও।
ইতিমধ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লি। বেশ কিছু অঞ্চলে কার্যত হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশের অভিযোগ, উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসায় একজন ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কাজ করেছেন সফুরা। এরপরই দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা সফুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।