ওয়েবডেস্ক: সরকার গঠন হয়ে যাওয়ার পর দ্বিগুণ নাটক শুরু হয়েছে মারাঠা রাজনীতিতে। এনসিপির সঙ্গে সরকারিভাবে জোট না করেও অজিত পাওয়ারকে পাশে নিয়ে শপথ নিয়ে ফেলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। আর এতে রাগে ফুঁসছেন উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ার। অপ্রত্যাশিত এই মোচড়ের পর এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দুই দলের প্রধান। শরদ পাওয়ার অজিতের এই পদক্ষেপ মানছেন না বলে জানিয়েই দিয়েছেন। এবার উদ্ধব বললেন, মহারাষ্ট্রে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করল বিজেপি।
আগের দিন সন্ধে পর্যন্ত জানতেন তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। পরদিন সকালে উঠে শুনলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়ে ফেলেছেন। এহেন ধাক্কা সহ্য করতে পারছেন না শিবসেনা সুপ্রিমো। শরদকে পাশে নিয়ে তাঁর দাবি, রাজ্যের গণতন্ত্রের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে বিজেপি। গেরুয়ারা দল ভাঙিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মানুষ এর বদলা নেবে বলেও সুর চড়িয়েছেন তিনি।
গত বছর এই নভেম্বর মাসেই অজিত পাওয়ারকে দুর্নীতির দায়ে জেলে ঢোকানর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল বিজেপি। আর এক বছর পর সেই অজিতের সঙ্গেই জোট করে সরকার গড়েছে তারা। শত্রুর সঙ্গে হাত মেলানোর এই ঘটনাকেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বলে আখ্যা দিয়েছেন উদ্ধব। ভাইপোর এই ‘আচমকা’ পদক্ষেপে চমকে গিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও। অজিত যে কাজ করেছেন তা ‘দলবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে বহিষ্কারের জল্পনাও বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই পুরো বিতর্ক নিয়ে কংগ্রেসের কেউ মুখ খোলেননি। প্রথম থেকেই যদিও এই জোট নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ কংগ্রেস দেখায়নি। পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় মুখে পুরোপুরি কুলুপ আঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।