ওয়েব ডেস্ক :- ত্রিপুরাতেও ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাপক্ষে বাঙালি আন্দোলন। তাঁদের জনসভায় হাজির হল ৩০ হাজার মানুষ। সেখান থেকেই ত্রিপুরায় বাঙালি বাঁচাওয়ের মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিল বাংলাপক্ষ।
জনসভায় কৌশিক মাইতি বলেন , ‘ত্রিপুরায় বাঙালি উদ্বাস্তু হচ্ছে, উৎখাত করা হচ্ছে। আশ্রয় শিবিরে আছে অনেকে। বাঙালি বিরোধী ব্রু চুক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। গত ২১ নভেম্বর বাঙালির আন্দোলনে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস গুলি চালিয়েছে, শ্রীকান্ত দাস শহীদ হয়েছেন। পা কাটা গিয়েছে হরেকৃষ্ণ দাসের। বাঙালি দলমত, ধর্ম নির্বিশেষে একসাথে লড়ছে, লড়বেও। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর ৫০০ বাঙালি ঘর ছাড়া হওয়ার পর কাঞ্চনপুর নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের নেতৃত্বে লড়ছে। আমরা বাংলা পক্ষ একসাথে লড়ছি। শ্রীকান্ত দাস মারা যাওয়ার পর বাংলা পক্ষ হলদিয়ায় বিরাট মিছিল করেছে, কলকাতায় ত্রিপুরা ভবন অভিযান করেছে। আমাদের দাবী বাঙালিকে বাংলাদেশী বলা যাবে না বাঙালিকে মারা যাবে না ত্রিপুরা, বাংলা, আসাম সব বাঙালি এক হচ্ছে। আগামী দিনে তা আরও শক্তিশালী হবে।’।
প্রসঙ্গত ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে বাঙালির উপর গুলি চালিয়ে হত্যা ও আহত করার বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষর ৭ জেলার সহযোদ্ধারা একটি প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশ করেছিল হলদিয়ায়। মিছিল থেকে আওয়াজ উঠেছিল যে, ত্রিপুরার বাঙালি আর একা নেই, ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে সমগ্র বাঙালি জাতি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি ত্রিপুরার বাঙালির পাশে আছে, বাঙালি ভাইয়ের খুনীর শাস্তি চাইবে।
এই মিছিল মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে শুরু করে সমগ্র হলদিয়া শহর কেন্দ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদী স্লোগানে মুখরিত করে দুর্গাচকে জ্বালাময়ী সভার মাধ্যমে শেষ হয় বিপুল জন সমাগমের মাঝে। বাংলা তথা ত্রিপুরার বাঙালির মাটিতে বহিরাগত আস্তানা গড়ার বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষর জোরদার প্রচার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সামাজিক মাধ্যমে।
ত্রিপুরায় ব্রু-রিয়াং শরণার্থীদের পুণর্বাসন দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ নিয়ে গুলি চালায় পুলিশ। মারা যায় এক যুবক। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্রিপুরা রাজ্যে তাঁদের পাকাপাকিভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে কেন্দ্র। নয়া চুক্তি অনুসারে তারা ত্রিপুরার ভোটার হয়ে গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছিল কাঞ্চনপুরের বাঙালিরা। শুরু হয় আন্দোলন।