নিউজ ডেস্ক :- দেশের সবথেকে বড় পাবলিক সেক্টর ব্যাংক এসবিআইতে হতে পারে কর্মী ছাঁটাই। একসঙ্গে তিরিশ হাজার কর্মচারীকে ভিআরএস নিতে বলতে পারে ব্যাংক। আসলে এসবিআইতে কর্মচারীদের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে নতুন ভলেন্টিয়ারি রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান। এই নতুন স্কিম অনুসারে এসবিআইএর ৩০,১৯০ জন কর্মচারী এবং আধিকারিকরা ভিআরএস নিতে পারবেন। এই স্কিমকে সেকেন্ড ইনিংস ট্যাপ ভলেন্টেয়ারি রিটায়ারমেন্ট স্কিম ২০২০ নাম দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের অধীনে, এমন কর্মীদের উপর নজর দেওয়া হবে, যারা পরপর তিনবার বা ততোধিক পদোন্নতি পাননি। এই স্কিমটি ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে এবং ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত জারি থাকবে। ইতিমধ্যে, যে কর্মচারীরা ভিআরএসের জন্য আবেদন করতে চান তারা এর মাধ্যমে ভিআরএস নিতে সক্ষম হবেন। এই ভিআরএস স্কিম প্রস্তুত করা হয়েছে এবং বোর্ডের অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই বোর্ডে উপস্থাপন করা হবে।
যে সমস্ত কর্মীদের বয়স ৫৫ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে বা যারা ইতিমধ্যেই ২৫ বছর চাকরি করে ফেলেছেন এই সিমের সুবিধা নিতে পারবেন। এগুলি ছাড়াও যে সকল কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে বা যাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সমস্যা রয়েছে তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। তবে, যে কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে ভিআরএস নেবেন, তারা যে কোনো পদে ২ বছর পরে আবারও ব্যাংকে যোগদান করতে পারেন।
এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণকারী কর্মচারীরা তাদের বাকি চাকরি জীবনের মেয়াদের ৫০ শতাংশ বেতন পাবেন। তবে, এই বেতন বর্তমান ১৮ মাসের বেতনের চেয়ে বেশি হতে পারে না। অর্থাৎ কর্মীরা সর্বোচ্চ ১৮ মাস বেতন পাবেন। নিয়ম অনুসারে গ্র্যাচুয়িটি এবং পিএফএর অর্থও কর্মীদের দেওয়া হবে। এর বাইরে কর্মচারীদের পেনশন ও ছুটির এনক্যাশমেন্টও দেওয়া হবে।ব্যাংকের বিধি মোতাবেক কর্মীরা বাধ্যতামূলক হারে আবাসন ঋণ, গাড়ি বাবদ লোন, শিক্ষা ঋণের ক্ষেত্রে সুবিধাও পাবেন।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমান অনুযায়ী ১১,৫৬৫ জন কর্মকর্তা এবং ১৮,৬২৫ জন কর্মচারী এই নতুন ভিআরএস প্রকল্পের আওতায় অংশ নিতে পারবেন। সমস্ত কর্মচারী যদি এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করেন তবে এসবিআই দু’হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় করবে।