নিউজ ডেস্ক ,অয়ন বাংলা:- গোটা দেশে বিক্ষিপ্ত দু একটি ঘটনা ছাড়াই কিছু ইভিএম এ বিপত্তি ছাড়া মোটামুটি নির্বিঘ্নেই কেটে গেল লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণ ।এদিকে, ভোট যত এগোচ্ছে, ততই উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে বিজেপি–র থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আর অন্দর মহলকে। গতবার মোদি–ঝড় আর ব্যাপক প্রচার ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছিল বিজেপি–কে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মনে করছেন এবারও জিতবেন নিজের ক্যারিশমায়। কিন্তু বিষেষজ্ঞ মহল এবং বিরোধীরা বলছে দেশে প্রথম দু–দফার ভোটের পর ঝড়ের বেগে আসন হারাচ্ছে বিজেপি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৭৫.২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। তুলনায় উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে মাত্রই ৫৮.১২ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ৬১.৫২ শতাংশ, ওডিশায় ৫৭.৪১ ও ছত্তিশগড়ে ৬৮.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ১২ রাজ্যের ৯৫ আসনের ভোটে অসম, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে ভোটযন্ত্রে গোলযোগের অভিযোগ বেশি উঠেছে। মহারাষ্ট্রের নানদেড় লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৭৮টি ইভিএমে গোলযোগের অভিযোগ ওঠে। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি তামিলনাড়ুতে ৩৮ আসনে ভোট হয়েছে। ইভিএম বিভ্রাটের খবরও বেশি ওই রাজ্যে। মোট ৫১টি। ওডিশায় শতাধিক বুথে ইভিএম সমস্যা দেখা দিলেও কমিশন তৎপরতার সঙ্গে তা পাল্টে দেয়। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুরেন্দ্র কুমার ৪টি বুথে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটে গোলযোগের কারণে নতুন করে ভোটের সুপারিশ করেছেন। বিহারের ভাগলপুর ও পূর্ণিয়াতেও কিছু বুথে ইভিএম কাজ করেনি। উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, মথুরা থেকেও ভোটযন্ত্র বিভ্রাটের অভিযোগ ওঠে। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এদিন সকালে বলেন, ‘যেখানে ইভিএম খারাপ হবে, কমিশনকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ইভিএম পাল্টে দিতে হবে।
’কিন্তু বাস্তবে অনেককাংশে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবার বিদ্বজন থেকে বুদ্ধিজীবি নারক থেকে পরিচালক সকলেই বিজেপি বিরোধী দলকে ভোট দিতে বলছে।তাহলে কি এই ঊণিশেই বিজেপি ফিনিস।
(লিখেছেন রাজীব চক্রর্বতী)