ওয়েব ডেস্ক :- সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের মিছিলে হিংসার ঘটনায় এবার জড়িয়ে গেল কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নামও। তাঁর বিরুদ্ধে উঠল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ! নয়ডা পুলিশ শশী-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যু সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন। বাকি ছ’জন অভিযুক্ত সাংবাদিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজদীপ সরদেশাইয়ের মতো প্রথম সারির সাংবাদিকও। তাঁদের বিরুদ্ধে দিল্লি হিংসা নিয়ে মিথ্যে খবর ছড়ানো ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে এফআইআর দায়ের হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নয়ডার এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার। এক স্থানীয় বাসিন্দার করা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মোট পাঁচটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। শশী ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা টুইটে দাবি করেছিলেন, পুলিশের গুলিতেই নাকি মৃত্যু হয়েছে প্রতিবাদী কৃষকের। যদিও পরে দেখা যায়, ট্র্যাক্টর উলটেই মারা গিয়েছেন ওই কৃষক।
সেদিনের হিংসায় কৃষকদের সমালোচনাও করতে দেখা গিয়েছিল শশীকে। এক টুইটে তিনি লেখেন, ”চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যজনক। শুরু থেকেই কৃষকদের প্রতিবাদকে আমি সমর্থন জানিয়ে এসেছি। কিন্তু আইন ভাঙাটা একেবারেই মানতে পারছি না। সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তেরঙ্গা ছাড়া আর কোনও পতাকা ওড়ানো যায় না।” পাশাপাশি অন্য একটি টুইটে আন্দোলনকারীর মৃত্যু নিয়ে শোকপ্রকাশ করে তিনি জানান, বিক্ষোভকারীরা ও সরকার চেষ্টা করলে সেদিনের হিংসা এড়ানো যেত। বলপ্রয়োগ করে নয়, বরং গণতান্ত্রিক ভাবেই একে আটকানোর চেষ্টা করা যেত বলে জানান তিনি।
শশী থারুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং। মোদি সরকারের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের তুলনা করে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ”রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাহেবরা শিষ্যদের রেখে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আন্দোলনকে থামাতে যেমন পদক্ষেপ করত ইংরেজরা, তেমনই আচরণ করছে কেন্দ্র।
এদিকে, যে চ্যানেলে রাজদীপ সরদেশাই কর্মরত ছিলেন সেই চ্যানেল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে টুইট করার অভিযোগে অন্তত ২ সপ্তাহের জন্য তাঁকে চ্যানেলের সম্প্রচার থেকে সরানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এক মাসের বেতনও কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
An