রাজ্যে অ্যাফেক্টেড জোন ছাড়া অন্য সব জায়গায় ২১ মে খুলছে দোকানপাট। বাসও চলবে, জানলেন মুখ্যমন্ত্রী
পরিমল কর্মকার, কলকাতা : কেন্দ্রীয় সরকার ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে, রাজ্য সরকারও ওই তারিখ পর্যন্ত লকডাউন রাখছে। তবে বুথ অনুযায়ী এবং গ্রামগুলির কন্টেইনমেন্ট জোনকে এ রাজ্যে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অ্যাফেক্টেড জোন, বাফেড জোন ও ক্লিন জোন। অ্যাফেক্টেড জোন বাদে অন্যান্য জোন গুলিতে ২১ মে খুলছে দোকানপাট, চলবে বাসও। ১৮ মে, সোমবার নবান্নে একথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, একমাত্র অ্যাফেক্টেড জোন বাদে অন্যান্য জোনে ২১ মে থেকে ছোট বড় সমস্ত দোকান খুলে যাবে। খুলবে সেলুন, বিউটি পার্লার, তবে হকার মার্কেটের ব্যাপারে আলোচনা করে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আন্তঃরাজ্য বাস পরিবহন ব্যবস্থা ওই দিনই চালু হচ্ছে। অনেক বেশী সংখ্যায় সরকারি বাস রাস্তায় নামবে। বেসরকারি বাসকেও ওইদিন চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সোস্যাল ডিসটেন্স মেনটেইন করে নির্ধারিত পুরনো ভাড়াতেই বাসকে চালাতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অটো অবশ্য ২৭ মে থেকে চলবে। তবে ২ জন যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত পুরনো ভাড়াতেই চলবে অটো। সরকারি সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া যাবেনা বলে জানান তিনি।
বেসরকারি শিল্প সংস্থাও সরকারি দফতরের মতো চালু হয়ে যাচ্ছে। তবে ৫০ শতাংশ কর্মীর বেশি নিয়ে কাজ করা চলবে না। তিনি বলেন, দোকান থেকে শুরু করে যে কোনও শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রে মাস্ক পড়াটা বাধ্যতামূলক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন আগামী ২১ মে তারিখের পরই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন তারা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত কার্ফু থাকবে। আমরা কিন্তূ তা বলছি না। আমরা বলছি, সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকবেন না।”
এইসঙ্গেই তিনি বলেন, “সামনেই রয়েছে ঈদ উৎসব। কিন্তু কেন্দ্র লকডাউন করে দিয়েছে, তাই আমি নিরূপায়। তবুও আমি বলছি, আপনারা বাড়িতে বসে উৎসব পালন করুন। কেউ যাতে আপনাদের বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকুন।”