রাজনৈতিক মঞ্চে কিংবা সভা-সমিতিতে শোভন সঙ্গী বৈশাখীকে “না” বিজেপি’র, উভয় সঙ্কটে শোভন চট্টোপাধ্যায়
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বিজেপি’র বড় কোনও সভা-সমিতিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় তার সঙ্গী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চ শেয়ার করতে পারবেন না, রবিবার এমনটাই শর্ত দিল বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এতেই উভয় সঙ্কটে পড়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, আশার আলো দেখছে তৃণমূল। কারণ শোভন তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বৈশাখীকে ছেড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচী কিংবা মঞ্চে একক ভাবে থাকবেন আর বৈশাখী গুরুত্ব পাবেন না, এটা কখনও শোভনবাবু মেনে নিতে পারবেন না। তাই বিজেপি’র কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে আপাতত: দেখা যাবেনা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে, এমনটাই মনে করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। যারফলে তৃণমূলে বৈশাখী গুরুত্ব পেলে তৃণমূলেই ফিরতে পারেন শোভন। সূত্রের খবর, এতেই আশার আলো দেখছে তৃণমূল কর্মীরা। তবে তৃনমূলের অধিকাংশ নেতাই চাননা বৈশাখী তৃণমূলে এসে দাপিয়ে বেড়াক। স্বভাবতই: বৈশাখীকে
নিয়ে এখন “শ্যাম রাখি, না কুল রাখি” অবস্থা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট দিল্লী থেকে শোভন চট্টোপাধ্যয়ের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন বিজেপি’র শীর্ষ নেতা অরবিন্দ মেনন। সেদিন দুজনের মধ্যে আলোচনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের বহু নেতা-কর্মীই মনে করেছিলেন, “শোভন বাবুকে এবার বোধহয় কোনও উচ্চপদে বসাতে চলেছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।” কিন্তু এইসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার বিজেপি’র পক্ষ থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হল, “বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চ শেয়ার করা যাবেনা।”
অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বারংবার বলে আসছেন, বৈশাখীর উপকার তিনি জীবনে ভুলবেন না। এমনকি বৈশাখীর জন্য এক গলা জলে নামতেও তিনি রাজি আছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে “শোভনের সঙ্গে বৈশাখী মঞ্চ শেয়ার করতে পারবেন না”, বিজেপি’র দেওয়া এই শর্ত কি শোভনের পক্ষে মেনে নেওয়া আদৌ সম্ভব ! নাকি আপাতত: তৃণমূলে ফিরে যাওয়াই শ্রেয় ? উভয় সঙ্কটে এখন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ শোভন চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।