ওয়েবডেস্ক:- হূঙ্কার ছাড়লেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ,বললেন অমিত শাহ কে বাংলায় ঢুকতে দিব না। যতদিন যাচ্ছে সিএএ নিয়ে বিরোধ আরও বাড়ছে শহর, রাজ্য তথা দেশজুড়ে। কেন্দ্রীয় এই নয়া আইনের বিরুদ্ধে অধিকাংশই সরব এই বলে যে এটি সংবিধান বিরোধী, দেশের মানুষের বিরোধী। একই মত পশ্চিমবঙ্গ জামিয়াত উলেমা হিন্দের সভাপতি সিদ্দকুল্লা চৌধুরীর। সিএএ-র প্রতিবাদে তিনি এবার সরাসরি নিশানা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। বললেন, সিএএ আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরতে দেওয়া হবে না
!সিদ্দকুল্লার কথায়, কেন্দ্রীয় এই আইন মানবিকতা ও দেশের মানুষ যারা যুগের পর যুগ এ দেশে বসবাস করছেন তাদের সম্পূর্ণ বিরোধী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এটি মানুষের ওপর চাপাতে চাইছেন। এই সিএএ আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁকে তাঁরা শহরে প্রবেশ করতে দেবেন না। সিদ্দকুলা স্পষ্ট জানিয়েছেন, দরকার পড়লে তাঁরা ১ লক্ষ লোক জড়ো করবেন, কিন্তু বিমানবন্দর থেকে অমিত শাহকে বেরতে দেবেন না। তিনি আরও বলেন, তাঁরা কখনই হিংসাত্মক আন্দোলনের পক্ষপাতী নন, কিন্তু এইভাবেই তাঁরা সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন।
সিদ্দিকুল্লা আরও দাবি করেন, দেশজুড়ে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে বিজেপিকে মানুষ প্রত্যাহার করেছেন। মোদী-শাহকে তারা আর পছন্দ করছেন না। প্রধানমন্ত্রীর ৫৬ ইঞ্চির ছাতি যাবতীয় কামাল দেখাতে ব্যর্থ। তিনি এখন ঘৃণা এবং ভাগাভাগির রাজনীতিতে মেতেছেন। মোদী এবং অমিত শাহ দু’জনেই একের পর এক এজেন্ডা মানুষের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন, মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁরা আলোচনাতে বিশ্বাসীই নন।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার স্পষ্ট করেছেন যে, সিএএ নিয়ে বিরোধ হতেই পারে তবে তা যেন হিংসাত্মক না হয়। বাংলায় যেভাবে ট্রেন জ্বালানো বা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। এই প্রেক্ষিতেই সিদ্দিকুলাও স্পষ্ট করেছেন যে তারা কোনওরকম হিংসাত্মক প্রতিবাদে যাবেন না, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করবেন।
দৌজন্য:- মহানগর ডেস্ক