অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- এবার মুখ খুললেব মুকুল,মমতা সিঙ্গুরে টাটার কারখানা না করতে দেওয়া ভুল।
মতার পর এবার সিঙ্গুর নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়। দিল্লি থেকে মুকুল বলেন, ‘টাটাদের সেখানে কারখানা না করতে দেওয়া বড় ভুল ছিল। এর জেরে শিল্পমহলে ভুল বার্তা গিয়েছে। এছাড়া সিঙ্গুরের মাটি তৃণমূলের সকল নীতিকে খারিজ করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, সিঙ্গুরে আন্দোলন করা ভুল ছিল।তাঁর বক্তব্য, ‘এখানে আমরা বলছি কারণ সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে আমরা তৃণমূলে ছিলাম। এই জমি না চাষের জন্য না কারখানা কোনও কিছুরই কাজে লাগেনি। কার্যত এই সিঙ্গুরের মাটি তৃণমূলের নীতিকে খারিজ করেছে।’ লোকসভা ভোটের আগে তো বটেই ভোটের পরেও দলবদলের খেলা জমে উঠেছে। মূলত ঝাঁকে ঝাঁকে বিধায়ক, কাউন্সিলার ঘাসফুল ছেরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছে। আসন থেকে শুরু করে দুর্নীতি এবং দলবদল অনেককিছু নিয়েই শুক্রবার মুখ খোলেন মুকুল। তিনি বলেন, বাংলায় জচ্চুরি, চুরি যদি না হতো তাহলে বিজেপি ১৮-র বদলে ৩০টি আসন জিতত। এখানে তৃণমূলের দিন শেষ হয়ে এসছে। যার জেরে এক এক কররে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, বিধায়করা বিজেপি শিবিরে নাম লেখাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন পুলিশ ছাড়া আর কেউ নেই। সেজন্য তিনি প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসেছে। মমতা এখন কী শাড়ি পরবেন, কী বলবেন, কী খাবেন, কী চটি পরবেন তা ঠিক করবে প্রশান্ত কিশোর।’ তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে যথেষ্ট সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।উল্লেখ্য, সিঙ্গুরে হার লজ্জাজনক। শুক্রবার হুগলিতে নির্বাচনের খারাপ ফলের পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রকাশ্যে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সিঙ্গুরে পরাজয়ের জন্য তিনি অন্য কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করছেন না, নিজেদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘সিঙ্গুরে হার লজ্জার। নিজেদের দোষেই আমরা হেরেছি। সরকারি পরিসেবা, ঋণ পাইয়ে দিয়ে অনেকেই কাটমানি নেন। বহু মানুষ এতে ক্ষুব্ধ।’আজ প্রশান্ত কিশোর কে নিয়ে অধীর চৌধুেী থেকে মুকুল সকলেই তীর্ষক মন্তব্য করতে ব্যাস্থ।