মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথীকে অপমান ও হেনস্থা করছে কিছু নার্সিং হোম ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষ, তবুও বাতিল হচ্ছেনা লাইসেন্স, ক্ষুব্ধ জনসাধারণ….স্বাস্থ্যসাথী বাতিলে এবার নাম জড়ালো বাগুইহাটির নিউ লাইফ নার্সিং হোম

Spread the love

মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথীকে অপমান ও হেনস্থা করছে কিছু নার্সিং হোম ও হসপিটাল কতৃপক্ষ, তবুও বাতিল হচ্ছেনা লাইসেন্স, ক্ষুব্ধ জনসাধারণ….স্বাস্থ্যসাথী বাতিলে এবার নাম জড়ালো বাগুইহাটির নিউ লাইফ নার্সিং হোম

পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী এখন ক্রমশঃ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। কোনও রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে শুনলেই রোগীকে নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দিচ্ছে একশ্রেণীর বেসরকারি হসপিটাল ও নার্সিং হোম কতৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব এই উদ্যোগ ও পাশাপাশি সরকারি এই হেল্থ কার্ড ফিরিয়ে দিয়ে কার্যতঃ মুখ্যমন্ত্রীকেই অপমান ও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সরকারি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দিলেও এখনও পর্যন্ত কোনও বেসরকারি হসপিটাল কিংবা নার্সিং হোমের লাইসেন্স বাতিল না হওয়ায় রাজ্যের সরকারের উপর ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

প্রসঙ্গত: এরই মধ্যে আবার স্বাস্থ্যসাথী বাতিল করার ঘটনায় সম্প্রতি জড়িয়ে গেল বাগুহাটির তেঘরিয়া এলাকায় নিউ লাইফ নার্সিং হোমের নাম। তারাও “স্বাস্থ্যসাথী” গ্রহণ করছে না বলে সরাসরি জানিয়ে দিল সংবাদমাধ্যমকে। এই হেল্থকার্ড গ্রহণ না করায় সরকার বেশ কিছু নার্সিং হোম ও হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত: সম্প্রতি দমদমের বাসিন্দা দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের বলবিন্দর পাসোয়ান (৪৪) নামে এক রোগীকে বাগুইহাটির তেঘরিয়া এলাকার নিউ লাইফ নার্সিং হোমে ভর্তি করতে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্যসাথী আছে শুনেই তাদের বলা হয়, এখানে ওই কার্ড গ্রহণ করা হয়না। রোগীর অবস্থা গুরুতর থাকায় তার পরিবারের লোকেরা বাধ্য হয়ে ধার-দেনা করে ৩৫ হাজার টাকা জমা করে রোগীকে ওখানে ভর্তি করেন। এরপর ধাপে ধাপে মোট ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ওই পরিবার এখন নিঃস্ব অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, ওই নার্সিং হোম আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করছে রোগীর পরিবারের কাছে।

জানা গিয়েছে ওই রোগীটি লোকের গাড়ি চালায়, পেশায় তিনি একজন ড্রাইভার। তার ছোট ছোট দুটি সন্তানও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাদের নেই। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, “তাহলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গুরুত্বটা কোথায় ? সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেটা কি বৃথা ? কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা আছে, এ প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা কেন হবেনা ? এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নার্সিং হোম ও হসপিটালগুলির লাইসেন্স এখনও কেন বাতিল করছে না রাজ্য সরকার….. ?”

সূত্রের খবর, এমনই গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু বেসরকারি হসপিটাল ও নার্সিং হোমের লাইসেন্স বাতিল করতে শীঘ্রই পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে সরকারের এসব আশ্বাস-বাণীতে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না অধিকাংশ মানুষ। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না রাজ্যের মানুষ, অভিযোগ এমনটাই।

 

ফটো : বৈশাখী সাহা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.