নিউজ ডেস্ক :- কারোও পৌষ মাস কারোও সর্বনাশ । গোটা দেশ বাসী যখন ল্যাজে গোবরে ,বাড়ছে পাহাড় প্রমান বেকারত্ব । মোদি ঘনিষ্ট আম্বানি আদানি সম্পদ আজ বাড়ছে ফলে ফেঁপে । করোনা-লকডাউনের কারণে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে প্রায় ২৪% সঙ্কুচিত হওয়ার পর অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করতেই ৪৬,০০০ পয়েন্টের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে শেয়ারবাজার। আর তাতেই ওই সাত ধনকুবেরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৫০% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯,৪৩৯ কোটি মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ১৪,৩১,৪৮৭.৯৬ কোটি টাকা, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের জিডিপির এক-দশমাংশ! (১০০ কোটি ডলার = ৭৩৬৪ কোটি টাকা)।
গত শুক্রবার পর্যন্ত ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইন্ডেক্স-এর তথ্য অনুযায়ী, এ বছর (২০২০) সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি বেড়েছে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির- ২১১০ কোটি ডলার বা ১,৫৫,৩৮০.৪০ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর তাঁর মোট সম্পত্তি ভারতীয় টাকায় প্রায় তিনগুণ হয়েছে। গত ডিসেম্বরে গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১,১৩০ কোটি ডলার (৮৩,২১৩.২০ কোটি টাকা)। গত শুক্রবার তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩,২৪০ কোট ডলার (২,৩৮,৫৯৩.৬ কোটি টাকা)।
গৌতম আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধির সিংহভাগটাই এসেছে শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ার দরে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি থেকে। যেমন, আদানি গ্রিন এনার্জি সংস্থার শেয়ার দর এ বছর বেড়েছে ৫২৫%, আদানি গ্যাসের শেয়ার দর বেড়েছে ১২০%, আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১৬%, আদানি ট্রান্সমিশন সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৮% এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড-এর শেয়ার দর বেড়েছে ২৭%। কেবল, আদানি পাওয়ার সংস্থার শেয়ার দর পড়েছে ২৭.৯১%।
তুলনায়, দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে ১,৮১০ কোটি ডলার বা ১,৩৩,২৮৮.৪ কোটি টাকা। গত বছর শেষে আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫,৮৬০ কোটি ডলার। গত শুক্রবার সেটা বেড়ে হয়েছে ৭,৬৭০ কোটি ডলার।
মুকেশ আম্বানি গোষ্ঠীর মাত্র ছ’টি সংস্থা শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত হলেও তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধির প্রধান হাতিয়ার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এ বছর রিলায়েন্সের বাজার মূল্য বেড়েছে ৩৩%। মুকেশের অন্য পাঁচ সংস্থার মধ্যে হ্যাথওয়ে ভবানী কেবলটেল অ্যান্ড ডেটাকম সংস্থার শেয়ার দর বেড়েছে ৪৬৮%, হ্যাথওয়ে কেবল অ্যান্ড ডেটাকম সংস্থার দাম বেড়েছে ৭২.৩৮%, নেটওয়ার্ক ১৮ মিডিয়া অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট-এর দাম বেড়েছে ৪৯%, ডেন নেটওয়ার্কস-এর ৪২% এবং রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার-এর ৩৭%।
আদানি, আম্বানির পরেই রয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সাইরাস পুনাওয়ালা। ভারতের ‘ভ্যাকসিন কিং’-এর সম্পত্তি ৬৯১ কোটি ডলার বেড়ে হয়েছে ১,৫৬০ কোটি ডলার। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা প্রতিষেধক টিকা এ দেশে বাণিজ্যিক স্তরে উৎপাদন করবে পুনাওয়ালার সিরাম ইনস্টিটিউট। এই কোভিড ভ্যাকসিনে পুনাওয়ালার লক্ষ্মীর ভাঁড়ার আরও কতটা উপচে পড়বে, এখন সেটাই দেখার।
এইচসিএল টেকনোলজিসের শিব নাদার এবং উইপ্রো টেকনোলজিসের আজিম প্রেমজি। যৌথ ভাবে এই দুই ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধারের সম্পত্তি বেড়েছে ১২০০ কোটি ডলার। নাদারের বেড়েছে ৬২৯ কোটি ডলার, প্রেমজির ৫২৬ কোটি ডলার। নাদারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২,২০০ কোটি ডলার। আর, প্রেমজির ২,৩৬০ কোটি ডলার।
কোভিড মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে টেলিকম এবং তথ্যপ্রযুক্তির চাহিদা প্রচুর বেড়েছে। সেই কারণে শেয়ার বাজারেও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার দর বেড়েছে লাফিয়ে। এইচসিএল টেকনোলজিস-এর দাম বেড়েছে ৫২% এবং উইপ্রোর ৪৩.৮২%।
এছাড়া ডি-মার্ট খ্যাত হাইপার মার্কেটের মালিক রাধাকৃষ্ণ দামানির সম্পত্তি ৪৭১ কোটি ডলার বেড়ে হয়েছে ১৪৪০ কোটি ডলার। সান ফার্মার দিলীপ সাঙ্ঘভির সম্পত্তি ২২৩ কোটি ডলার বেড়ে হয়েছে ৯৬৯ কোটি ডলার।
আজ গোটা দেশ যখন কৃষক আন্দোলনে তখন ,বেকারত্বের বাড় বাড়ন্ত .সেই সময় মোদী ঘনিষ্টদের পাহাড় প্রমান সম্পদ বৃদ্ধি কৃষি প্রধান দেশে এই আমজনতার নাভিশ্বাস উঠছে।
সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা