*ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বাংলার অন্তত ৩১, হাওড়ায় আসছে বিশেষ ট্রেন !*
ওয়েব ডেস্ক : ওডিশার সরকারের তরফে সর্বশেষ জানানো হয়েছে, মারা গিয়েছেন অন্তত ২৮০ জন। আহতের সংখ্যা ৯০০-র কাছাকাছি। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুপুরেই পৌঁছে যান বালেশ্বরে। তিনি দুর্ঘটনাস্থলে যান, হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন।
*মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পাশে দাঁড়িয়েই রাজ্যের তরফে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।এ রাজ্য থেকে অনেক অ্যাম্বুল্যান্স ও চিকিৎসকদের দল পাঠানো হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার বন্দোবস্তের কথা জানান তিনি।বালেশ্বর থেকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ৭০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়ায় এসে পৌঁছবে একটি বিশেষ ট্রেন। চিকিৎসা পরিষেবা-সহ নানা ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে ট্রেনটিতে। বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত এ রাজ্যের ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৫৪৪।
গত কালকে –
ওড়িশার বালেশ্বরে বড়সড় দুর্ঘটনার খবরে পড়ল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ সূত্রের খবর, ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে একই লাইনে একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ট্রেনটির৷
তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ প্রাথমিক পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষের জেরে ট্রেনের অধিকাংশ কামরাই বেলাইন হয়েছে৷ যদিও দুর্ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে দুর্ঘটনার যা প্রাথমিক ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে অনেক যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন রেল কর্তারা৷ ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে৷
রেল সূত্রে খবর, বালেশ্বরের প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার আগে সোড়ো স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ তবে প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকারী দল পৌঁছতেও সময় লাগছে৷
প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় গ্রামবাসীরাই উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন বলে খবর৷ ঘন অন্ধকারের কারণে এবং আলোর অভাবে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে৷ খড়্গপুরের ডিআরএম নিজেও ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন৷
শুক্রবার দুপুর 3:20 মিনিটে শালিমার থেকে ছেড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ সন্ধে ৬.০৫-এ ট্রেনটির বালেশ্বরে পৌঁছনোর কথা ছিল৷ তার আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি৷