ফ্রান্সে নবী অবমাননার প্রতিবাদে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ কলকাতায়
নিউজ ডেস্ক – ফ্রান্স মহানবী সাঃ এর কুরুচিকর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকায় এক ব্যক্তি খুন হওয়াকে কেন্দ্র করে ইসলাম বিদ্বেষ মারাত্মক আকার ধারণ করে সে দেশে। ফরাসি সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে নবী মুহাম্মদ সাঃ এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন পুনরায় প্রকাশ করে মুসলিমবিদ্বেষী বিভিন্ন পত্রিকা ও সংগঠন। নবী অবমাননার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার সেই প্রতিবাদে সামিল হল কলকাতা।
আজ সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন এর সম্পাদক মাওলানা কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে টিপু সুলতান মসজিদের পাশে নবী অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। অনেকের হাতে ছিল ফ্রান্স বিরোধী প্লাকার্ড। উপস্থিত বক্তারা ফ্রান্সের এই অপকর্মের নিন্দা জানান।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংখ্যালঘু নেতা তথা যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামান বলেন , “সম্প্রতি ফ্রান্সে সংঘটিত আমাদের প্রাণপ্রিয় আদর্শ হযরত মুহাম্মদের সা. চরিত্রের জন্য অবমাননাকর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও ফরাসি সরকার কর্তৃক তা সমর্থন এবং এই প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে পথভ্রষ্ট কিছু যুবকের সন্ত্রাসী আক্রমণের কঠোর ভাষায় তীব্র নিন্দা করছি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কোনো যুক্তিতে ও অজুহাতে আমরা সমর্থন করিনা। সব সহিংসতা সন্ত্রাস। সহিংসতা মুসলিম করলে সন্ত্রাস আর অমুসলিম করলে বন্দুকবাজ! অশ্বেতাঙ্গরা করলে সন্ত্রাস আর শ্বেতাঙ্গরা করলে উগ্র জাতীয়তাবাদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বেসরকারি সংগঠন সহিংসতা করলে সন্ত্রাস আর সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকবাজ করলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। আইনের অনুশাসন না মেনে প্রতিটি হত্যা সন্ত্রাস। সন্ত্রাসের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট কোনো সরকার অথবা গণমাধ্যমের মালিক করতে পারে না। আমরা মনে করি, উগ্র জাতীয়তাবাদী হোক অথবা উগ্র মৌলবাদী সহিংসতা অপরকে সন্ত্রস্ত করতে করা হয়। প্রতিটি সহিংসতা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আমরা প্রতিটি সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করছি। ”
কামরুজ্জামান একে অপরের ধর্ম বিশ্বাসের উপর শ্রদ্ধাশীল, সংহতি ও ঐক্যের আবেদন জানিয়ে আরো বলেন,” যারা নিজেদের ধর্মাচরণের যৌক্তিকতা, ঐতিহাসিকতা ও সত্যতা বিচার করতে চায়না, তারা অপরের ধর্ম ও জীবন দর্শন বিচার করার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না।
আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করব, অপরের ধর্ম ও জীবন দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন জাতীয় সংহতি ও আন্তর্জাতিক ঐক্য।”