নিউজ ডেস্ক – বঙ্গ বিজেপি র একুশে ভোট কে সামনে রেখে সংখ্যালঘু ৬৫ টা আসন কে বাদ দিয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত । রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে যে ৬৫টি আসনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুরা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায়, সেই আসনগুলিকে বাদ দিয়েই ১৫০ আসনকে জয়ের ‘টার্গেট’ করে এগোচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। কিন্তু ২২৯ আসনের মধ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য ১৪৮ আসন জেতা মিরাকেল বাদে সম্ভব নয়। যে ৬৫ আসনকে বাদ দিয়ে ঝাঁপানো হচ্ছে তার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি, উত্তর দিনাজপুরের ৩টি, মালদার ৮টি, মুর্শিদাবাদের ১৬টি, নদিয়ার ৪টি, উত্তর ২৪ পরগনার ৮টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৮টি, হাওড়ার ৪টি, হুগলির ৪টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি, পূর্ব বর্ধমানের ২, পশ্চিম বর্ধমানের ২, বীরভূমের ২টি আসন রয়েছে।
গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ফল করলেও ওই ৬৫টি বিধানসভা আসনে শুধু বিজেপি পিছিয়েই ছিল না, বেশ ব্যাপক ভোটে পিছিয়ে ছিল। ওই বিধানসভা আসনগুলিতে দলীয় সংগঠন এখনও এতটা দুর্বল যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুথে বুথ কমিটিই গঠন করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া সর্বশক্তি নিয়ে কোমর কষে ঝাঁপালেও সংগঠনকে খুব একটা শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করানো যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী নন ভােটের রণকৌশল রচনার দায়িত্বে থাকা বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তাই ওই ৬৫ আসনে শক্তি নিয়োগ করার চেয়ে অন্য আসনে সেই শক্তি নিয়োগ করলে কাজে আসবে অর্থাৎ সুফল মিলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
রাজ্য বিজেপির এক সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘নিচুতলায় কিছু সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিতে আসছেন বটে, কিন্তু তাঁদের তেমন নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা যেমন নেই, তেমনই সম্প্রদায়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতাও নেই। ফলে সংখ্যালঘু এলাকায় খাতা-কলমে সদস্য সংখ্যা বাড়লেও সংগঠন শক্তিশালী ততটা শক্তিশালী হয়নি। বরং হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় সংগঠন অনেক বেশি চাঙা। মুসলিমদের কাছে টানতে গিয়ে হিন্দুদের সরিয়ে দেওয়াটা ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ কে সামনে নিয়ে আসার যদিও চেষ্টাা চলছে তবুও সেটা আশানুরুপ নয় ।