অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- পুজোর আগে গরিব মানুষদের সমস্ত সামাজিক ভাতা প্রায় বন্ধ। সরকারি কর্মীরাও ডিএ পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় বিজেপি–শাসিত ত্রিপুরায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করে কেনা হচ্ছে বিলাসবহুল লিমুজিন। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। শুধু তা–ই নয়, মন্ত্রীদের জন্যও বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে কার্পণ্য করছে না ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যের মন্ত্রীদের জন্য কেনা হচ্ছে ৩৮ লাখ টাকা দামের গাড়ি। পুলিশকর্তাদের জন্য ৮টি গাড়ি ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। পুজোও হয়ে গেছে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন।
পুজোর আগে বিভিন্ন সামাজিক ভাতা প্রায় বন্ধ। ভেরিফিকেশনের নামে সামাজিক ভাতা প্রাপকদের উপহার দেওয়া হচ্ছে চরম হয়রানি। ব্লকে ব্লকে চলছে বৈধ সুবিধাভোগী যাচাইয়ের নামে দু–তিন মাস ধরে তথ্য যাচাই। মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটালেও, নেতা–মন্ত্রীরা বিলাসবহুল জীবন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সোমবার মোহনপুর, সাতচাঁদ, বিলোনিয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। জানা গেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের জন্য ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা দামের কালো একটি বিদেশি গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে কেনা হচ্ছে ৩৮ লাখ টাকা দামের বিলাসবহুল গাড়িও। যা ব্যবহার করবেন রাজ্যের পূর্ণ মন্ত্রী মর্যাদাপ্রাপ্তরা।
এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে সিপিএম। সিপিএম নেতা পবিত্র করের মতে, এই সরকার অত্যন্ত ভোগবিলাসী। উৎসব বা অনুষ্ঠানের নামে বা ভ্রমণের নামে খরচে কার্পণ্য নেই। তবে গরিব মানুষের বেলাতেই কোনও টাকা নেই এই সরকারের। গরিব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ২–৩ মাস ধরে ভাতা বন্ধ। সরকারি কর্মীরা ন্যায্য ডিএ থেকে বঞ্চিত।
সমালোচনা করছে কংগ্রেসও। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোপাল রায়ের অভিযোগ, রাজ্যে উন্নয়ন বলতে শুধু বিজেপি নেতা–মন্ত্রীদের বিলাসিতা। গরিব মানুষকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘হেলিকপ্টার মন্ত্রী’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। অন্য দিকে, বিজেপি নেতারা চুপ। সামাজিক ভাতা নিয়ে দুর্নীতির সাফাই গাইছেন তাঁরা। ১৮ মাস পরেও অবশ্য ভুয়ো আর বৈধ ভোক্তা বেছে উঠতে না পারা নিয়েও কটাক্ষ করছে কংগ্রেস।