আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: চীনের উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কয়েক বছর ধরেই চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের নির্মূল করার ছক কষছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এর জন্য ৮০ লক্ষের বেশি উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পেও আটকে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি এই সম্প্রদায়ের মহিলাদের জোর করে গর্ভপাতও করানো হচ্ছে। ফলে ক্রমশ কমছে জন্মহার। যদিও তাদের উপরে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জিনপিং প্রশাসনের দাবি, পরিবার নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য এই ফলাফল হয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চিনে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিম সংক্রান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমদের পুরোপুরি নির্মূল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে চিনের সরকার। শিনজিয়াং প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করে ৮০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি বানিয়েছে তারা। মুখে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য তাদের ক্যাম্পে রাখার কথা বলা হলেও বাস্তব পরিস্থিতিটা অন্যরকম।
পাশাপাশি শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে উইঘুর মুসলিমদের সংখ্যা কমাতে জোর করে মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণ ও গর্ভপাত করানো হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শি জিনপিং প্রশাসনের এই পাশবিক কর্মকাণ্ড আরও বেড়েছে। এর ফলে শুধু ২০১৮ সালেই এক-তৃতীয়াংশ কমেছে জন্মহার ((birth rate)। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিনজিয়াং প্রদেশে আগে যেখানে প্রতি এক লক্ষ জনে ৫০ জনের বন্ধ্যাত্বকরণ (sterilisation) হচ্ছিল আস্তে আস্তে তা ২৫০ জনে পৌঁছে গিয়েছে। এর ফলও মিলছে হাতেনাতে। ২০১৭ সালে উইঘুর অধ্যুষিত ওই প্রদেশে যেখানে এক হাজার জনে ১৫.৮৮ শতাংশ শিশু জন্ম নিচ্ছিল ২০১৮ সালে তা পাঁচ শতাংশ কমে ১০.৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
গোটা বিশ্ব আজ নির্বাক আর পাকিস্তান চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত প্রতিদিন ই বাড়িয়ে দিচ্ছে কিন্তু কোন প্রতিবাদ নাই।
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন