ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমফান ,চুড়ান্ত সর্তকতা, চলছে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:- আর কিছূক্ষণ অল্প সময়ের মধ্যে ধেয়ে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমফান। বতমানে পারাদ্বীপ থেকে মাত্র শতাধিক কিমি দুরে । আর দিঘা থেকে দুই শতাধিক কিমি দুরে । এমতাবস্থায় উৎকন্ঠায় সময় কাটছে উপকূল বাসির।
মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই প্রবল ঘূর্ণি ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর এলাকাতে শুরু হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। এদিন কাঁথির SDO অফিস থেকে আমফান ঝড়ের আগাম সতর্কতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে জনসাধারণের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন পরিবহন, সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকার এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সতর্কতা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

উপকূলবর্তী এলাকাতে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এনডিআরএফ, বিএফএফ বাহিনীও সুপার সাইক্লোন আফমানের মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা রয়েছে সুন্দরবন এলাকায়। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো রকম কমতি রাখা হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। কোনোরকম গাফিলতি রাখতে চায় না প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যা দুই রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৪১ টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও উদ্ধারকারী দলকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনডিআরএফ-এর প্রধান এস এন প্রধান।


মঙ্গলবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, উত্তাল সমুদ্র। এনডিআরএফ এর টিম সমুদ্র সৈকত এলাকায় যেসব মানুষ জন ঘুরে বেড়াচ্ছে বা যাদের স্টল রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে সতর্ক করছেন। দীর্ঘ লকডাউন এ দীঘার সমস্ত স্টল বন্ধ রয়েছে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় স্টল খুলে জিনিসপত্র বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। এর আগেও অনেক ঝড় দেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবারের সরকারি নির্দেশ এবং জেলা প্রশাসনের তৎপরতা যেন একটু বেশি ভাবাচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জামড়া, শ্যামপুর, তাজপুরে যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতিতে দুর্বল বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। হাত লাগিয়েছে গ্রাম বাসীরাও। বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরানো হচ্ছে এই লাকার মানুষ জন দের। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। হালকা হাওয়া বইছে। দিঘা সহ মন্দারমনি হলদিয়াতে প্রশাসনের মাইকিং নজর দারি চালানো চলেছে। সমুদ্রের গতিবিধি ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে।

দুই মেদিনীপুর ও দুই চব্বিশ পরগনায় একশ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতাতেও তার গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় থাকতে পারে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে সঙ্গে থাকছে ভারী বৃষ্টিপাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.