ত্বহা সিদ্দিকীকে দিল্লিতে ডাকলেন কৈলাশ বিজয় বর্গীয় ,একুশে বিধানসভায় বিজেপির লক্ষ্য মুসলিম ভোটব্যঙ্ক ?

Spread the love

ওয়েব ডেস্ক    :-   একুশে  ভোট যেন  বাংলার রাজনীতিতে এক অনন্যা নজির সৃষ্টি করতে চলেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন  রাজনীতির সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। অঙ্ক জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে । চলছে দর কষাকষি । এমতাবস্থায় এবার ত্বহা সিদ্দিকি কাছে টানার কৌশল নিচ্ছে বিজেপি ।  ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে  সম্প্রতি বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে কথা হয়েছে ফুরফুরা শরিফের ত্বহা সিদ্দিকির। তাতেই চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে বিজেপি নতুন এক সমীকরণ তৈরি করতে চলেছে।

২০২১-এ মমতার সরকারকে উৎখাত করাই বিজেপির লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে চায় তারা। তাই সমীক্ষা করে এগোচ্ছে বিজেপি। কোন বিধানসভা কেন্দ্রে কোন ভোটের দরকার, তা নিরীক্ষণ করেই একুশে যুদ্ধজয়ের নীল নকশা প্রস্তুত করছে বিজেপি।
সেই সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে বিজেপি পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে পারে সংখ্যালঘু ভোট। কারণ সংখ্যালঘু ভোটের কারণে বাংলার অন্তত ৭৫টি আসনে বিজেপিকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। হিন্দুত্ববাদী তকমার জন্য সংখ্যালঘুরা ওই কেন্দ্রগুলিতে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে তাদের।

এই জটিলতা দূর করার জন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করল বিজেপি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে বিজেপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শরাণাপন্ন হলেন ত্বহা সিদ্দিকীর। তিনি ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে ফোন করে কথা বললেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর তিনি ত্বহা সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরে তাঁর সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। কৈলাশ তাঁকে দ্রুত দিল্লি যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, আপনার সহযোগিতা ও শুভেচ্ছার প্রয়োজন বাংলায়।

 

২০১১ সালে সংখ্যালধু ভোটব্যাঙ্ক সিপিএমকে ছেড়ে তৃণমূলের দিকে চলে আসার পিছনে ত্বহা সিদ্দিকীর হাত ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবার যদি সেই হাত ঘুরিয়ে দেওয়া যায় তাদের দিকে তাহলে বিজেপিকে আটকানোর সাধ্যি থাকবে না আর। রাজ্যের অন্তত ৭৫টি আসনে ভালো প্রভাব রয়েছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের। আরও ২৫টি আসনেও আংশিক প্রভাব রয়েছে।

এখন প্রশ্ন বিজেপি সংখ্যালঘু বিদ্বেষী বলে পরিচিত, ত্বহা সিদ্দিকী কি বিজেপির সেই হাত ধরবেন! বা তিনি যদি বিজেপির হাত ধরেনও তাঁর এই সিদ্ধান্ত কি মানবে সংখ্যালঘু সমাজ। এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.