ট্যাক্সি ভাড়া বৃদ্ধি কিংবা আর্থিক প্যাকেজ না দিলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন ট্যাক্সি মালিকেরা

Spread the love

ট্যাক্সি ভাড়া বৃদ্ধি কিংবা আর্থিক প্যাকেজ না দিলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন ট্যাক্সি মালিকেরা

পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বাসের মতো ট্যাক্সিকেও আর্থিক প্যাকেজ না দিলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন তারা। সোমবার পরিবহন দফতরকে চিঠি দিয়ে জানালো ট্যাক্সি মালিকদের বৃহত্তর সংগঠন “বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন”।

ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা বিমল গুহ জানান, ২০১৮ সালের পর থেকে আর ট্যাক্সির ভাড়া বাড়েনি। অথচ ইতিমধ্যেই ডিজেল, ইনস্যুরেন্স ও পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এব্যাপারে বারংবার তারা রাজ্য সরকারের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন কিন্তু সরকার তাদের প্রতি কোনও দৃষ্টি দিচ্ছেনা।

তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির একটা সঙ্কেত পাওয়া গেলেও সেটা কার্যকরী হয়নি। পরবর্তীতে আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে ট্যাক্সি ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একটি আশ্বাস পাওয়া গেলেও, এব্যাপারে সন্দিহান ট্যাক্সি মালিকেরা। কারন সম্প্রতি নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পরিবর্তে বাস পিছু মাসে ১৫ হাজার টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও ট্যাক্সি সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্যই করেননি। আর এতেই তাদের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ভাতা, কৃষক ভাতা থাকলেও এই পেশায় কোনও আর্থিক সহায়তা করেনা কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকার।

উপরন্তু বাস যেমন যাত্রী পরিষেবা দেয়, ট্যাক্সিও সেই একই রকম যাত্রী পরিষেবা দেয়। তাই বাসের ক্ষেত্রে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও ট্যাক্সি তার ব্যতিক্রম কেন ? একই বিষয়ে একই সরকারের এই দু’মুখো নীতি কেন ? এমনই এক প্রশ্ন তুলেছেন ট্যাক্সি সংগঠনের অন্যান্য নেতারাও।

ইতিমধ্যেই সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহন দফতরের পাশাপাশি রাজ্যপালকেও ট্যাক্সিভাড়া বৃদ্ধির জন্য চিঠি দিয়েছেন তারা। রাজ্যের পরিবহন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্য সচিবকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদি আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া না পাওয়া যায় তবে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন বিমল গুহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.