মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের নদীর গর্ভে
তলিয়ে যাওয়া সর্বহারা অসহায় কয়েক টি গ্রামের মানুষদের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন শিক্ষকগণ
মোঃ ইজাজ আহামেদ ও মহ: মুস্তফা শেখ :-
কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন নদীর তীরবর্তী মানুষ আতঙ্কে প্রহর গুনছে। ধানঘরা, শিবপুর,প্রতাপগঞ্জ -এ ভাঙনে ৭২ টি বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় এবং প্রায় ৪০০ পরিবার বাড়ি ভাঙার পর শুক্রবার সন্ধ্যার ব্যাপক বৃষ্টিপাত ভাঙনে অতিরিক্ত শক্তি যোগান দেওয়ায় রাত থেকে ব্যাপকহারে ভাঙন দেখা দেয় ধুসরীপাড়া গ্রামে। ফলে উক্ত গ্রামে একটি পুরোনো পদ্মা মন্দির সহ অনেকের বাড়ি গঙ্গার অতলে তলিয়ে যায়। উক্ত গ্রামগুলোতে বিরাজ করছে শুধু হাহাকার, কান্নার রোল ও একটু সম্বল পওয়ার আশায় বাড়ি ভাঙার ব্যস্ততা। সেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে
গত ৬ সেপ্টেম্বর সামসেরগঞ্জের ধানঘরা, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ এলাকায় পঞ্চগ্রাম আই এস এ হাই স্কুলের শিক্ষকগণ গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তালিকা তৈরি করেন ।
সেই উপলক্ষে আজ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার সকাল ৯ টা নাগাদ সামসেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত ধানঘরা, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ ও ধুসরী পাড়া এলাকায় ৫০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন শিক্ষকগণ। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক ড. মেহবুব ঈসা, সহ শিক্ষক গোলাম কাদের, সঞ্জয় চৌধুরী, কল্যাণ মির্ধ, এস এন আলি, উত্তম হালদার, আসাদুল হক, বানি ইসরাইল, সুদীপ্ত কুমার রায়, হাসানুজ্জামান, স্বপন ঘোষ, ব্যাপী ঘোষ এবং পার্শ্ববর্তী আশ – সাবিন মিশনের শিক্ষক মোঃ ইজাজ আহামেদ, পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তরুণ কুমার দাস, গৃহ শিক্ষক আনিকুল ইসলাম ও লাল্টু সেখ। পঞ্চগ্রাম আই এস এ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড.মেহবুব ঈসা বলেন, “তাদের একটি তহবিল আছে, প্রত্যেক বছর সেই তহবিল থেকে দুর্যোগ কবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য করেন”। সেই মতো আজকে এই নদী ভাঙ্গন কবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করেছেন।