সাংবাদিকদের এ্যক্রিডিটেশন কার্ড শুধুমাত্র গেটপাশ ছাড়া আর কিছুই নয়, বললেন কুণাল ঘোষ
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : “সাংবাদিকদের সরকারি এ্যক্রিডিটেশন কার্ড শুধুমাত্র একটি গেটপাশ ছাড়া আর কিছুই নয়” রবিবার একটি “ইউ-টিউব নিউজ চ্যানেলে” সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা বললেন সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। হাউসের ডি টি পি অপারেটর থেকে শুরু করে সাব-এডিটর কিংবা নিউজ-এডিটর, এদের অধিকাংশেরই তো এ্যক্রিডিটেশন নেই তাহলে তারা কি সাংবাদিক নন ? এমনকি যে সব সাংবাদিকের এ্যক্রিডিটেশন কার্ড নেই তারাও কি সাংবাদিক নন ? এমনই নানা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সংবাদজগতে এখন বহুল আলোচিত “আরামবাগ টিভি”র সফিকুল ইসলামের গ্রেফতারের প্রসঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, “তার নাকি এ্যক্রিডিটেশন কার্ড নেই। তাই তিনি সাংবাদিক নন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলতে চেয়েছেন, এমন কিছু সাংবাদিকের পকেটে এ্যক্রিডিটেশন কার্ড রয়েছে, অথচ তাদের থেকে অনেক বড় বড় সাংবাদিকের কাছে এ্যক্রিডিটেশন কার্ড নেই। এ থেকে প্রমাণ হয়না যে, যার কাছে কার্ড নেই তিনি সাংবাদিক নন। একথা পুলিশ কি করে বলে যে, যার এ্যাক্রিডিটেশন নেই তিনি সাংবাদিক নন। এ নিয়ে বিস্মিত কুণালবাবু। সফিকুল ইসলাম ১০০% সাংবাদিক তাতে কোনও সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। উল্টে কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক নন তার ব্যাখ্যা দেওয়ার অধিকার কি পুলিসের আছে ? এ প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এ্যক্রিডিটিশন কার্ড একটি “গেটপাশ” মাত্র। নবান্ন, রাইটার্স বিল্ডিং কিংবা সরকারি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা অফিস কিংবা এই ধরনের বিল্ডিং গুলোতে সংবাদ কভার করতে যাওয়ার “পাশ” ছাড়া আর কিছুই নয় এটা। এমনই মন্তব্য সাংবাদিক কুণাল ঘোষের।
তবে, এ্যক্রিডিটেশন কার্ড হোল্ডারদের সরকারি কিছু দাক্ষিণ্য অবশ্য মেলে এতে। সম্প্রতি করোনা আবহে যেসব সাংবাদিকরা সংবাদ কভার করছেন তারা সরকারের তরফ থেকে একটা স্বাস্থ্যবীমা পেয়েছেন। বিনা ভাড়ায় সাড়া বছর সরকারি বাসে যাতায়াত সহ কিছু দাক্ষিণ্য অবশ্যই পান তারা। কিন্তু এই কার্ড-হোল্ডার ছাড়া অন্য কোনও সাংবাদিক কেন স্বাস্থ্যবীমা পেলেন না ? এ নিয়েও সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার এই সাক্ষাৎকারের পরই বহু সাংবাদিকই তার মতামতের পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন।