নিউজ ডেস্ক:- যোগীর রাজ্যে এবার নির্যাতিত এর বাড়ীতে ডি এম গিয়ে প্রছন্ন হূমকী । যোগী রাজ্যে গণধর্ষণে মৃত নির্যাতিতার সৎকার ঘিরে আগেই কাঠগড়ায় উঠেছিল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছলেও, বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়নি না। পরিবারের আবেদন অগ্রাহ্য করে মাঝরাতে জোর করে সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। আর ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এবার পুলিশের তরফে দাবি করা হল, কোনও ধর্ষণই হয়নি নির্যাতিতার। গলায় আঘাত ও তার থেকে হওয়া ট্রমার কারণেই মৃত্যু বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলার। আর এমনই পরিস্থিতিতে এবার যোগী প্রশাসনের আরও এক মারাত্মক অভিযোগ উঠল। এবার হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন জেলাশাসক, এসএসপি। সেখানে নির্যাতিতার পরিবারকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে বেশি এগোবেন না। এই ঘটনা নিয়ে এগোলে আর্থিক সাহায্যের টাকা পাবেন না। মিডিয়া কালই চলে যাবে। আপনারা কিন্তু সুবিধা পাবেন না।’ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্যাতিতার বাবাকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মৃত্যুর পর রাত আড়াইটের সময় পুলিশি ঘেরাটোপে ১৯ বছরের তরুণীর দেহের সৎকার সম্পন্ন হয়। পরিবারকে ছাড়াই সৎকার হয়ে গিয়েছে। পরিবার কাতর মিনতি করেছিল, বাড়িতে শেষবার মেয়েটির দেহ যাতে আনা হয়। কিন্তু, পুলিশ পরিবারের কোনও কথা শোনেনি। লুকিয়ে সৎকার করে দেয় মৃতদেহ। এরপরই ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উল্লেখ করে এদিন পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। স্যাম্পেলে শুক্রানুও মেলেনি। সেইসঙ্গেই পুলিশের হুঁশিয়ারি, যাঁরা এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে-তেই হাথরস যাওয়ার পথে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটকে দেয় উত্তর প্রদেশ পুলিশ। জানানো হয়, জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ফলে চার জনের বেশি মানুষের সমাগম বেআইনি। কিন্তু এই অজুহাতে থামানো যায়নি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং উত্তর প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। হেঁটেই তাঁরা রওনা দিলে পুলিশের তরফে রীতিমতো ধাক্কা দেওয়া হয় রাহুলকে। পড়ে যান রাহুল। নিজে একা হেঁটে যান বললেও ছাড়া হয়নি তাঁকে। বরং গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ক্ষুব্ধ রাহুল বলেন, ‘এদেশে কি শুধুমাত্র মোদীজিই রাস্তায় হাঁটতে পারেন? আর কোনও সাধারণ মানুষ পথে চলতে পারেন না? আমাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছিল, তাই হাঁটতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু আটকে দেওয়া হল।’
যদিও বিজেপির দাবি, রাহুল-প্রিয়ঙ্কা হাথরসে যেতে চান নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। রাজস্থানের আলওয়ারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সেখানে যাননি, কারণ সেখানে কংগ্রেসের সরকার। কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং। তাঁর দাবি, যে কোনও ধরনের উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হলে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ তৈরি আছে। আবার পুলিশের দাবি, ‘মহামারী আইন মানেননি কংগ্রেস কর্মীরা’। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
সৌজন্য :- এই সময় , Ei samay