বিপুল জয়ী হলেন তৃনমূলের রত্না চট্টোপাধ্যায়, রঘুনাথ পাত্র, সঞ্চিতা মিত্র, শেফালী প্রামাণিক, রূপক গাঙ্গুলী, বিশ্বজিৎ মন্ডল, রত্না শুর-রা
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : এবিএন নিউজের নির্বাচনী বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় আগেই জানানো হয়েছিল রত্না চট্টোপাধ্যায়, সঞ্চিতা মিত্র, শেফালী প্রামাণিক, রঘুনাথ পাত্র, বিশ্বজিৎ মন্ডল সহ বেহালা- ঠাকুরপুকুর ও জোকার সব তৃনমূল কো-অর্ডিনেটররাই জিততে চলেছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোটের দিন বেহালা, ঠাকুরপুকুর এবং জোকার মোট ২১ টি ওয়ার্ড পরিক্রমা ও পর্যবেক্ষণ করে করে “এবিএন নিউজ”-এ একটি বুথ ফেরৎ “সমীক্ষা” প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে আমরা জানিয়েছিলাম, এই ২১ টি ওয়ার্ডেই নিশ্চিতভাবে তৃনমূল প্রার্থীরা জিততে চলেছেন। খবর প্রকাশের পরই বিরোধী দলের কিছু উগ্র-কর্মী ও অন্ধ সমর্থকেরা “এবিএন নিউজ”-এর কলকাতা দপ্তরে ফোন করে কটূক্তি করেন। এদের বক্তব্য ছিল ভুল ও অসত্য খবর প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্ত মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, আমাদের সমীক্ষা রিপোর্ট পুরোপুরি মিলে গিয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) গণনা শেষ হওয়ার মুহূর্তে জানা গিয়েছে, বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাড়ে ১০ হাজারের কাছাকাছি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃনমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। ঠাকুরপুকুরের ১৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রেকর্ড ভোটে জয় পেলেন তৃনমূল প্রার্থী রঘুনাথ পাত্র। তিনি জিতেছেন প্রায় ১৬ হাজার ভোটে। ১৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন তৃনমূলের সঞ্চিতা মিত্র। তিনি ৬ হাজার ২৫০ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। ১২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫ হাজার ৭০০-রও বেশি ভোটে জিতলেন তৃনমূল প্রার্থী রূপক গাঙ্গুলী। জোকার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন তৃনমূল প্রার্থী শেফালী প্রামাণিক। তিনি জিতেছেন সাড়ে ৩ হাজারও বেশি ভোটের ব্যবধানে। ১১৪ ও ১১৫ নম্বর নম্বর ওয়ার্ড থেকেও বড় ব্যবধানে জয় পেলেন তৃনমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ মন্ডল ও রত্না শুর।
প্রত্যাশা মতো বেহালার পাশপাশি সারা কলকাতা জুড়েই জয়ী হয়েছেন তৃনমূল প্রার্থীরা। কলকাতা পুরসভায় ১৪৪ টি আসনের মধ্যে তৃনমূল একাই পেয়েছে ১৩৪ টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ৩ টি আসন, বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২ টি করে আসন। নির্দলরা পেয়েছে ৩ টি আসন। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ১৬ টি বরো কমিটি। তার মধ্যে ১৪ নম্বর কমিটির চেয়ারম্যান মানিক লাল চট্টোপাধ্যায় ও ১৬ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য বছরখানেক আগে মারা গিয়েছেন। তাই এই দুটি বরোতে শীঘ্রই নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। তবে এই পদের দাবিদার একাধিক বলেই সূত্রের খবর।