কালীপুজোয় রাজ্যে বাজি কেনা-বেচা-পোড়ানো নিষিদ্ধ, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : চলতি বছর করোনা আবহের জন্য আতসবাজি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন চিকিৎসকেরা। বরাবরের মতো তাতে সায় দিয়েছিলেন পরিবেশবিদরাও। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ালে তার ধোঁয়ায় কষ্ট হতে পারে করোনা রোগীদের। ইত্যাদি বিষয় ও কালীপুজোর মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি মামলাও দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দোপাধ্যয়ের ডিভিশন বেঞ্চে একটি শুনানি ছিল। তাতে সবদিক বিচার বিবেচনা করে বিচারপতিদ্বয় একটি অন্তর্বরতীকালীন রায় দেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই নির্দেশে বাজি কেনা-বেচা ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: বাজি বিক্রি হলেই বাজি কেনা ও পোড়ানোর প্রবণতা তৈরী হবে। তাই রাজ্যে যাতে কোনোভাবেই বাজি বিক্রি না হয়, তা রাজ্য পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করার আদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এ ছাড়া দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও কার্তিক পুজোতেও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারকে ঠাকুর বিসর্জনের একটি গাইড লাইন তৈরি করার নির্দেশিকা জারি করেছে হাইকোর্ট। ঠাকুর বিসর্জনের ক্ষেত্রে কোনও শোভাযাত্রা করা যাবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিদ্বয়।