নিউজ ডেস্ক :- সরকার ইতিমধ্যেই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সেক্টরে এর থেকে বেশি ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।” লোন মোরাটোরিয়াম সুদ নিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে একথা জানালো কেন্দ্র। আর্থিক বিষয়ে আদালত যেন হস্তক্ষেপ না করে একথা স্পষ্টভাবে শীর্ষ আদালতকে জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার।
করোনা মহামারীর কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে ছ’মাসের জন্য ইএমআই স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিল। গত সপ্তাহে কেন্দ্র একটি হলফনামা জারি করে জানিয়েছিল এই ঋণের সুদের বোঝা বহন করবে সরকার। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘সন্তোষজনক’ নয় বলে মন্তব্য করে আদালত। আদালতের এই মন্তব্যের জবাবে আজ কেন্দ্র সরকার এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
সরকার তার হলফনামায় জানিয়েছে, “নীতি সরকারের ক্ষেত্র এবং বিভিন্ন খাত-সুনির্দিষ্ট আর্থিক ছাড়ের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের করা উচিত নয়। ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে সুদ মকুব করা ছাড়া আর কোনো ছাড় জাতীয় অর্থনীতি এবং ব্যাঙ্কিং সেক্টরের জন্য ক্ষতিকর।”
করোনা আবহে ঋণের ইএমআই স্থগিত নিয়ে এবং সুদের ওপর সুদ নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত সেবিষয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে জানাতে বলেছিল আদালত। সেই মামলায় গত শনিবার শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে সুদ মকুব করতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বাড়ি-গাড়ি ঋণ, শিক্ষা ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ গ্রহিতাদের ওপর এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের বিল দেওয়া যারা স্থগিত রেখেছেন তারাও উপকৃত হবেন।
এর একদিন পর সোমবার শীর্ষ আদালত জানায় কেন্দ্রের এই হলফনামা সন্তোষজনক নয়। এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে জানাতে বলে আদালত। রিয়েল এস্টেট এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের উদ্বেগ বিবেচনা করতেও বলা হয়েছিল সরকারকে।
তবে সরকার নতুন হলফনামায় পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, “আবেদনের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট সেক্টরের জন্য ত্রাণ দাবি করা যায় না।”