সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল হরিণ, গাছে আশ্রয় নিল মানুষ….এক লহমায় প্লাবিত সুন্দরবন
পরিমল কর্মকার : দীর্ঘ এক যুগ পরে আবার উসকে দিল সেই “আইলা” স্মৃতি। “আইলা” হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৫ মে। বুদ্ধ পূর্ণিমার ভরা কোটাল ও ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস”এর জোড়া ফলার ধাক্কায় সুন্দরবনের ব্রিটিশ আমলের ভঙ্গুর নদী বাঁধগুলি ভেঙ্গে গিয়ে নোনা জল ঢুকে এক লহমায় নোনা জলে থৈ থৈ করছে গোটা সুন্দরবন এলাকা। এমনকি সুন্দরবনের জঙ্গল থেকেও হরিণ প্রাণ ভয়ে জল সাঁতরে চলে এসেছে লোকালয়ে। পাশাপাশি প্রাণ বাঁচাতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে গাছের ডালে। সদ্যজাত শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে হলো এনভিএফ কর্মীদের।
প্রসঙ্গত: সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, রায়দীঘি, কুলতলি, বাসন্তী, গোসবা, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখা প্রতিটি এলাকাতেই নোনা জল ঢুকেছে। উল্লেখ্য, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হলে যে ধরনের মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজন ছিল তার বাস্তবায়ন করতে ব্যার্থ হয়েছে রাজ্য সরকার….এমনই অভিযোগ সুন্দরবন-বাসীদের। অভিযোগ, “আইলা” হয়ে যাওয়ার ১৩ বছর পরেও নদীবাঁধ নির্মাণে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে পারেনি রাজ্য সরকার, যারফলে ভোগান্তি বাড়ছে সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের।
অন্যদিকে, এদিন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রায়মঙ্গলের বাঁধ ভেঙ্গে তালতলা গোপালের ঘাট, আতাপুর বাজার, বোয়ালিয়ার চরে জল ঢুকে জলমগ্ন হয়েছে এলাকা। সন্দেশখালি থানার দূর্গমন্ডপে মজে যাওয়া বালি নদী প্লাবিত হয়ে নদীর দু’কুলের ঘর-বাড়ি ভাসিয়েছে। সন্দেশখালিতে যেকোনো দুর্যোগে যারা ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যায় মানুষের দুয়ারে, সেই সেচ্ছাসেবী সংস্থা “হিমাদ্রী মিশন”ও আজ জলমগ্ন। তাই তাদের সমস্ত জনমুখী কর্মযজ্ঞ “জোস”এর ধাক্কায় এখন বিপর্যস্ত বলেই খবর বিশ্বস্ত সূত্রের।