আন্তজার্তিক নিউজ ডেস্ক:- রিসিন নামক বিষ সাধারণত বিশ্বের ভয়ানক জঙ্গি সংগঠনগুলি করে। পাউডার, গুলি বা অ্যাসিড-এর মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তির উপর এই বিষ প্রয়োগ করে থাকে জঙ্গির। আর এই ভয়ঙ্কর বিষ একবার শরীরে ঢুকলে আর রক্ষে নেই। মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। এবার সেই ভয়ঙ্কর বিষ রিসিন এল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসে। তা হলে কি কেউ বা কারা ট্রাম্পকে হত্যার ছক কষেছিল! খামে ভরা ছিল চিঠি। আর সেই চিঠির সঙ্গেই থামে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল ভয়ঙ্কর বিষ। তবে সেই চিঠি ট্রাম্পের কাছে পৌঁছল না। এমনিতে রোজই কয়েক হাজার চিঠি হোয়াইট হাউসে আসে। তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটা পৌঁছয় প্রেসিডেন্ট-এর টেবিল পর্যন্ত। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট-এর কাছে যাওয়ার আগে যে কোনও জিনিস বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করা হয়।
শনিবার সেই বিষ ভর্তি খাম পৌঁছয় হোয়াইট হাউসে। যদিও সেই চিঠি কোনও আধিকারিকের কাছে পৌঁছয়নি। তার আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা সেই চিঠি বাজেয়াপ্ত করে নেন। নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যার ছক ভাবিয়ে তুলেছে নিরাপত্তা কর্মীদের। ইউএস সিক্রেট সার্ভিস ও ইউএস পোস্টাল ইন্সপেকশন সার্ভিস-কে ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, বিষ ভর্তি সেই খাম এসেছিল কানাডা থেকে। তবে কে বা কারা সেই খাম পাঠিয়েছিল তা নিয়ে এখনও কিছু জানতে পারেননি মার্কিন গোয়েন্দারা। রিসিন-এর মতো বিষ প্রয়েগে ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে্ মৃত্যু হতে পারে। এই ভয়ানক বিষ থেকে বাঁচানোর মতো কোনও প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। সাধারণত জঙ্গিরাই এই বিষ ব্যবহার করে।
হোয়াইট হাউসে বিষ ভর্তি খাম পাঠানোর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এর আগে ২০১৮ সালেও ট্রাম্পকে হত্যার ছক কষে এক ব্যক্তি বিষ ভর্তি খাম পাঠিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি ধরাও পড়ে যান। তিনি আপাতত জেলে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে হত্যার ছক ভাবিয়ে তুলেছে গোয়েন্দাদের। মাসখানেক আগেও হোয়াইট হাউসের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁকে গুলিও করেন তাঁরা। বারবার ট্রাম্পের উপর হামলার ছক কষছে কারা! এই রহস্যের উদঘাটন করাই এখন সব থেকে বড় চ্যলেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে।
সৌজন্য :- জি নিউজ