অধীর গড়ে কংগ্রেস একেবারে সাফ ,গোটা রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চা কে দুরবীন দিয়ে দেখতে হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক :- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কথা। তৃণমূল ত্যাগের আগে এই দুই জেলায় দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাছাড়া এই দুটি জেলাই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘরের মাঠেই ভাল ফলের ইঙ্গিত পেয়েছে তৃণমূল। মালদহে তৃণমূল এতদিন ছিল তৃতীয় শক্তি। সেখানেও এবার কার্যত প্রথম শক্তি হিসেবে উঠে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই খুশি মমতা। তিনি মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের দলীয় কর্মীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় ছিল মুসলিম ভোট কোন দিকে যাবে। আপাত যা আভাস মিলছে তাতে কংগ্রেস গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ-মালদায় প্রায় ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। আর একেবারেই কল্কে পায়নি বামফ্রন্টও। তাই তৃণমূল কংগ্রেস এবার ৪৫জন মুসলিম প্রার্থী দিলেও তার মধ্যে ৪০জন জিতে যেতে পারেন। এর থেকে পরিষ্কার মুসলিমরা উজাড় হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন মুসলিমরা।
কংগ্রেসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস এবং বামেরা কোনও আসন নাও পেতে পারে। সেই জায়গাটা দখর করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভগবানগোলার উদাহরণ দিয়ে তা উল্লেখ করা যেতে পারে। ভগবানগোলায় এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ইদ্রিশ আলিকে। উলুবেড়িয়া থেকে ইদ্রিশ আলি বিদায়ক হয়েছিলেন। এবার তাকে ভগবানগোলা থেকে প্রার্থী করার ফলে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে ছিল আদৌ ইদ্রিশ আলি নতুন জায়গায় ঘাসফুল ফোটাতে পারবেন কিনা। চতুর্থরাউন্ড শেষে দেখা যাচ্ছে ইদ্রিশ আলি যেখানে ২০০০২টি ভোট পেযেছেন সেখানে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৬৮৫৩টি ভোট।
কংগ্রেসের আর এক শক্ত ঘাঁটি মালদার সুজাপুরে এবার গণিখানের ভাইপো ঈশা খান চৌধুরির বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল গণি। চতুর্থ রাউন্ড শেষে আবদুল গণি পেয়েছেন ৫০৪৫৪টি ভোট। সেখানে ঈশা খান চৌধুরি পেয়েছেন মাত্র ৭৭৮১টি ভোট
সৌজন্য :- আপনজন পত্রিকা