মৃত্তিকা মোয়ার অবিশ্বাস্য স্বাদ সরশুনার মৃত্তিকা সুইটস-এ
পরিমল কর্মকার ও সুচন্দ্রা মতিলাল (কলকাতা) : কথায় আছে “দিল্লি কা লাড্ডু খেলেও পস্তাতে হবে, আর না খেলেও পস্তাতে হবে…।” তবে আজ দিল্লির লাড্ডু নয়, বহরু’র মৃত্তিকা মোয়ার প্রসঙ্গ নিয়েই খবর। এই মোয়া না খেলে নিশ্চিত ভাবেই পস্তাতে হবে। বেহালা চৌরাস্তা হয়ে সরশুনায় মৃত্তিকা সুইটস’এ গেলেই সন্ধান পাওয়া যাবে অবিশ্বাস্য স্বাদের এই মোয়ার। মনে হবে যেন বহরু’তে বসেই মোয়া খাচ্ছেন তারা। এই অবিশ্বাস্য ও অমৃত স্বাদের মৃত্তিকা মোয়া পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
সম্প্রতি এই প্রতিবেদকেরা হাজির হয়েছিলেন সরশুনার মৃত্তিকা সুইটস’এ। মৃত্তিকা মোয়া খেয়ে তারা বলেই ফেললেন “জীবনে এই প্রথম এমন অমৃত স্বাদের মোয়া খাচ্ছি… ।” দোকানের কর্ণধার জয়দেব মণ্ডল জানান, তাদের মিষ্টির দোকানের তিনটি শাখা রয়েছে — সরশুনা, বেহালা ও চৌরাস্তায়। শীতের সিজনে তার দোকানে মিষ্টির পাশাপশি চাহিদা তুঙ্গে থাকে মৃত্তিকা মোয়ারও।
তিনি আরও জানান, তার বাড়ি জয়নগর থেকেও অনেক ভিতরে…বহরুতে। সেখান থেকেই মোয়া প্রস্তুতের সমস্ত সামগ্রী এখানে নিয়ে আসা হয়। এমনকি দোকানে মোয়া প্রস্তুতের কারিগরেরাও জয়নগর এলাকার। যাতে কলকাতায় বসেই বহুরু’র মৃত্তিকা মোয়ার স্বাদ উপভোগ করতে পারেন খদ্দেররা, সেই জন্যই তাদের এই আয়োজন।
প্রতিবেদকদের সামনেই তৈরি হচ্ছিল মোয়া। প্রচুর পরিমাণে ঘি, মাখন, খোয়া ক্ষীর, নলেন গুড়, কিসমিস, কাজু বাদাম, পেস্তা সহযোগে তৈরি হচ্ছিল মোয়া। মোয়া প্রস্তুত হতেই শুরু হলো টেস্টের পালা। সাংবাদিকেরা মোয়া খেয়েই অবাক হলেন — এমন অমৃত সমান স্বাদের মোয়া এখানে মিলবে, সেটা ভাবতেই পারেন নি তারা। তাই তারাও বলে ফেললেন, “সবাই আসুন, এই দোকানে জয়নগরের মোয়া টেস্ট করুন।”