সম্পর্কের ইতি, অবশেষে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এল রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।
নিউজ ডেস্ক :- সম্পর্কের ইতি, অবশেষে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এল রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। জল্পনা ছিলই। ভোটের ফলে ভরাডুবির পরেই সেই জল্পনায় শিলমোহর দিল রাজ্য কংগ্রেস। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বাধীন আইএসএফের সাথে। রাজ্যের মহাজোটও একই সাথে ভেঙে গেল।
রাজ্যে ভোটের আগে বামফ্রন্টের আইএসএফের সঙ্গে হাত মেলানো মানতে পারেনি জোটের আরেক শরিক কংগ্রেস। প্রথম থেকেই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ও আব্বাস সিদ্দিকির মতপার্থক্য প্রকট হয়ে দেখা গেছে। এদিকে রাজ্যে নির্বাচনের খাতিরে ত্রিশঙ্কু জোট বজায় রাখা হলেও কংগ্রেস দলের অন্দরে এই নিয়ে অসন্তোষ ছিল। একইরকম দ্বন্দ ছিল বামফ্রন্টের অন্দরেও। এদিকে ভোটের ফলে কংগ্রেস সিপিএম দুই দলের ভরাডুবির পরেই এবার কংগ্রেস জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল।
প্রসঙ্গত এবারে প্রথম রাজ্যে একটিও আসন না পেয়ে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস সিপিএম দুই দলই। তারপরেই দুই দলের অসন্তোষ চরমে পৌঁছয়। আজ কংগ্রেসের কর্মী সমিতির বৈঠকের পর সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আজ এই ব্যাপারে জানান ভবিষ্যতে আর আইএসএফের সাথে কোনরকম সম্পর্ক রাখতে চান না তাঁরা।
সম্পর্কের ইতি, অবশেষে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এল রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই আজ একথা জানান তিনি। কংগ্রেস বেরিয়ে আসার পর বাকি দুই দল সিপিএম ও আইএসএফ জোট নিয়ে কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে সেদিকে নজর থাকবে সবার। তবে কংগ্রেস বেরিয়ে আসার পর এই জোট যে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ল সেকথায় মানছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সৌজন্য :- নজর বন্দি