দেশের প্রতিটা মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি তুলল ন্যাশনাল পিপলস ফোরাম

Spread the love

দেশের প্রতিটা মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি তুলল ন্যাশনাল পিপলস ফোরাম

পরিমল কর্মকা, কলকাতা : লকডাউন বাড়তে বাড়তে দেড় মাস সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেল। এখনও শোনা যাচ্ছে, আরও লকডাউন বাড়ানো প্রয়োজন। তা না হলে করোনা মহামারীর কোপে নাকি বহু মানুষের মৃত্যু ঘটবে। অথচ একটানা বন্ধ থাকায় দুর্ভিক্ষের জন্য কত মানুষের মানুষ মারা যাবে সেটা কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কেউই কিছু বলছে না। সরকারি নিয়মে বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হোক ক্ষতি নেই। কিন্তু শুধুমাত্র খাবার জন্য চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ এসব না দিয়ে দেশের সমস্ত মানুষকে আর্থিক সহায়তা করুক উভয় সরকার, এই দাবি তুলেছেন ন্যাশনাল পিপলস ফোরামের সম্পাদক সুদর্শন চৌধুরী।

প্রসঙ্গত: ৯ এপ্রিল হাওড়ার আন্দুলে একটি সভায় এই সংগঠনের সম্পাদক সুদর্শন চৌধুরী বলেন, গত মার্চ মাসের ২৩ তারিখ থেকে এরাজ্যে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২৫ মার্চ থেকে এ রাজ্য সহ সারাদেশে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ। সরকারি কর্মচারী ও বিত্তবান ব্যক্তি বাদে এই মুহূর্তে অধিকাংশ মানুষই কর্মহীন হয়ে অর্থ সংকটে ধুঁকছেন।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে যে ত্রাণ সাহায্য হিসেবে চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে সেটা দেশ কিংবা রাজ্যের সব গরিব মানুষই যে পাচ্ছেন তা নয়। আর চাল, ডাল ইত্যাদি পেলেই যে দিন চলবে, তাও নয়। মানুষের জীবন ধারণের জন্য আনুষাঙ্গিক খরচ খরচা কে দেবে ? সবচেয়ে বড় কথা, মধ্যবিত্তরা তো কিছুই পাচ্ছেন না। আর চক্ষু লজ্জার ভয়ে তারা থালা, বাটি হতে সাহায্য নিতে রাস্তায়ও নামতে পারছেন না।

ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, এই বন্দিদশায় মধ্যবিত্ত মানুষের হাল হকিকৎ অত্যন্ত খারাপের দিকে। বন্ধের সময়সীমা ক্রমান্বয়ে যদি এভাবে বাড়তে থাকে, তবে আর্থিক অনটনে মানুষের বেঁচে থাকার চরম দুঃসময় অপেক্ষা করছে। এজন্য আগামী দিনগুলোতে দিকে দিকে অনাহার অনটন ও আত্মহত্যায় মৃত্যু মিছিলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই করোনা’য় যা মৃত্যু হবে তার থেকে শতগুণ বেশি মৃত্যু ঘটবে দুর্ভিক্ষের কারণে। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় বন্ধের সময়সীমা বাড়ুক ক্ষতি নেই। কিন্তু তার দাবি, দেশের সমস্ত মানুষের জন্য অবিলম্বে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.