ওয়েব ডেস্ক :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বাংলার মানুষকে দুয়ারে রেশন এর প্রতিশ্রুতি মত এবার কাজ শুরু হতে চলেছে । ভোটপ্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক বড় প্রতিশ্রুতি। ভোটে জিতে এলে বাড়ির দোরগোড়ায় রেশন পৌঁছে দেবে তাঁর সরকার, এমনই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ক্ষমতায় ফিরে সেই কাজই শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবার তাতেই নেওয়া হল বড়সড় পদক্ষেপ। মঙ্গলবার খাদ্যভবনে এক বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশনের কাজ। রাজ্যের মোট ২৮ টি রেশন দোকান থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন সামগ্রী। কতটা সাফল্য মিলল, তা নিয়ে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে। তারপর আলোচনা সাপেক্ষে নিয়মিত কাজ শুরু করা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি হতে পারে।
এদিন খাদ্যভবনের বৈঠকে নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ না থাকলেও ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, খাদ্যসচিব পারভেজ সিদ্দিকি। আলোচনা হয় রেশন ডিলারদের সঙ্গে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুক্রবার খাদ্যবণ্টন শুরু হবে দুয়ারে দুয়ারে। রাজ্যের মোট ২২ জেলার ২২টি দোকানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহরাঞ্চলে আরও ৬ টি দোকান থেকে বাড়ি বাডি রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে মোট ২৮টি রেশন দোকান থেকে দুয়ারে রেশনের কাজ শুরু হবে।
বৈঠক শেষে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপস ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, তাঁদের তরফে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাতে তাঁদের প্রস্তাব, যেহেতু বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া খুবই বড় কাজ, রেশন দোকানের কর্মীদের তাই সবরকমভাবে প্রস্তুতির জন্য খানিকটা সময় দরকার। কাজের ধরনও নতুন, তা বুঝে নিতে হবে। তাঁদের আরও প্রস্তাব, প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হলে প্রথম ১৫ দিন গ্রাহকরা রেশন দোকানে এসে খাদ্যসামগ্রী নিন, পরের ১৫ দিন রেশন দোকানের কর্মীরা যাবেন বাড়ি বাড়ি। তাতে সমন্বয় ঠিক থাকবে। এখন সবই নির্ভর করছে শুক্রবার পাইলট প্রজেক্টের পর কেমন সাড়া পড়ে, তার উপর।
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন