*গরীব অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকের ফিরে আসার সংক নিকৃষ্ট রাজনীতির নমুনা*
*কোলকাত*:- একটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক। ছল–চাতুরি। প্রচারের ঢক্কা–নিনাদ। কাজে শুন্য। দেড় মাসেরও ওপর হয়ে গেল লকডাউনের। মমতা সরকার এখনও অবধি বাইরে আটকে পড়া রাজ্যের শ্রমিকদের বিষয়ে ফলপ্রসূ কিছুই করতে পারল না। এদিকে প্রচার মাধ্যমে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জনে কোন খামতি নেই। শুধুই পরিস্থিতির রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা। মোদীজির মত।
কেন্দ্রীয় স্বরাস্ত্রমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকার বাইরে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে উৎসাহী নয়। মারাত্মক অভিযোগ। রাজ্য সরকার যে খুব আন্তরিক ভাবে কিছু করার চেষ্টা করেছে সামনের বাস্তব চিত্র সে কথা বলেনা। এর রাজনৈতিক দিকও আছে। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোতো নিজ নিজ রাজনৈতিক স্বার্থ ছাড়া কিছু করতেই পারেনা।
শ্রমিক ফেরানোয় গররাজী হওয়ায় মমতার রাজনৈতিক স্বার্থ:
(১) দলে দলে ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিক ফেরার দৃশ্যে, তার জমানায় অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে শ্রমিককে আর রাজ্য থেকে সেভাবে বাইরে কাজে যেতে হয়না – মমতার সাধের এ দাবী মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়। ফলে পরবর্তীকালে তাকে বিরোধীদের কঠিন সমালোচনার মুখে পড়তে হবে।
(২) ঘরে ফেরার জন্য ভিন রাজ্যে (বিশেষ করে) বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিক্ষোভ-গণ্ডগোল হলে নরেন্দ্র মোদী–বিজেপি’র মুখ পোড়ে। তৃনমূলের গায়ে আঁচ লাগেনা। রাজনৈতিক ফায়দা হয়।
(৩) এতগুলো মানুষ ফিরে এলে, তাদের খাদ্য, কাজ, জীবিকা, ত্রানের অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ নিতে হয়।
শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ নয়। শ্রমিকদের বাস্তব অভিজ্ঞতাও রাজ্য সরকারের অনিচ্ছার অভিযোগের স্বপক্ষে কথা বলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগের সাথে সাথেই, দিদির গুণমুগ্ধ তৃণমূল নেতা–মন্ত্রীরা হৈ হৈ করে আসরে নেমে পড়ে অভিযোগ খণ্ডন করছেন। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক কথার কড়চায় আস্ফালন কেন?